এবারও কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ১৪১টি স্থানে হবে করোবানির পশু জবাই। পরিবেশ দূষণ রোধে এই উদ্যোগ নিয়েছে কেসিসি।
কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ঈদুল আযহার দিন খুলনা নগরীতে বাড়ির সামনে এবং রাস্তার ওপর গরু-ছাগল কোরবানি দেওয়া হয়। এর ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। এ অবস্থা নিরসনে পশু কোরবানির জন্য নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ১৪১টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে কেসিসি।
কেসিসির ভেটেরিনারি সার্জন ডা. পেরু গোপাল বিশ্বাস বলেন, কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য এবারও স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির আহবান জানিয়ে ৩ দিন ধরে নগরীতে মাইকিং করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত বছর নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি হয়েছিল ২৫/৩০ শতাংশ। কোরবানি দাতাদের বাড়ি পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে তারা এসব স্থানে পশু নিয়ে আসে না। তাই অনেক স্থান ফাঁকা ছিল।
তিনি আরও বলেন, কারও বাড়ির আঙ্গিনায় বা গাড়ির গ্যারেজে পশু কোরবানির মতো জায়গা থাকলে তারা সেখানে করতে পারেন। তবে তারা যেন ময়লা রাস্তায় কিংবা ড্রেনে না ফেলেন। তাদেরকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী স্থানে পশুর বর্জ্য ফেলার জন্য আহবান জানান তিনি।
কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজিজ জানান, প্রতিবছর কোরবানির পর কিছু মানুষ রাস্তার ওপর কিংবা ড্রেনে গবাদি পশুর উচ্ছিষ্টাংশ ফেলে। এর ফলে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং ড্রেনের পানি চলাচল বিঘ্নিত হয়। বর্জ্য অপসারণে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বেগ পেতে হয়। নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি হলে দ্রুত ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা সম্ভব হবে।
খুলনা গেজেট/এমএম