ভারতের কলকাতার আমরি হাসপাতালের উদ্যোগে ‘মিট দ্যা প্রেস’ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে খুলনা ক্লাবে ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠিত হয়।
‘মিট দ্য প্রেসে’ হাসপাতালের কর্ণধর রূপক বড়ুয়া বলেছেন, আমরি হাসপাতাল বিগত ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের পাশে রয়েছে। ক্যান্সার, নিউরোলজি, গ্যাষ্ট্রোলজিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা দিয়ে এ হাসপাতালটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি খুলনার রোগীদের আরও সহজে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। বিশেষ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ ছাড় দিয়ে চিকিৎসা দেয়ার ব্যাপারেও তিনি আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা: এস কে বল্লভ, খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা ও আমরি হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজার নির্ঝর ঘোষ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ডা: সাবরিনা রহমান স্নিগ্ধা।
রূপক বড়ুয়া আরও বলেন, দু’দশকের বেশী সময় ধরে আমরি হাসপাতাল বাংলাদেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত। বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে সাত হাজারেরও বেশি রোগী কলকাতার আমরি হাসাপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। এসব রোগীদের মধ্যে ক্যান্সার, যকৃত ও হাড়ের রোগের ন্যায় কঠিন ব্যাধির রোগী রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আমরি গোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাদেশবাসীর আত্মিক যোগাযোগ আছে এবং আমরির উপর তাদের ভরসা রয়েছে।
বাংলাদেশের রোগীদের জন্য চিকিৎসা খরচ বেশি নেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক সময় এমনটি থাকলেও বাংলাদেশের রোগীদের আর্থিক বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এখন বাংলাদেশ ও ভারতের উভয় দেশের রোগীদের একই ধরনের ব্যয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশী রোগীদের জন্য আমরি হাসপাতালের তিনটি শাখায়ই পৃথক ডেস্ক রয়েছে। যেখানে যাওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশী রোগীদের ভিসার দিকটি বিবেচনায় এনে যত দ্রæত সম্ভব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
আমরি হাসপাতাল সম্পর্কে রূপক বড়–য়া বলেন, বর্তমানে আমরি গ্রুপের চারটি শাখা আছে। যার তিনটি কলকাতার তিন প্রান্তে অবস্থিত এবং আরেকটি পার্শ্ববর্তী রাজ্য উড়িষ্যার রাজধানী ভুবনেশ্বরে অবস্থিত।
প্রতিটি হাসপাতালেই আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে চিকিৎসার সুযোগ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর বাইরেও আছে বিশ্বমানের ডাক্তার, অনুশীলনপ্রাপ্ত নার্স ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা। আমরির চারটি হাসপাতালে প্রায় হাজার খানেক চিকিৎসক ও ১২শ’রও বেশী বেড রয়েছে বলেও তিনি জানান।
মিট দ্যা প্রেসে সাংবাদিকদের পাশাপাশি খুলনার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।
প্রশ্নত্তর পর্বে কথা বলেন, খুলনা ক্লাবের সদস্য আহসান হাবিব, কেডিএ’র সদস্য আবুল কালাম আজাদ, গ্লোবাল খুলনার আহবায়ক শাহ মামুনুর রহমান তুহিন, গাজী টিভির খুলনা প্রতিনিধি লিয়াকত হোসেন, দৈনিক পূর্বা লের স্টাফ রিপোর্টার এইচ এম আলাউদ্দিন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএম