খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  যাত্রাবাড়িতে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, সংঘর্ষে দুই পুলিশ আহত
  জুলাই গণহত্যা : ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
  বিশ্বকাপ বাছাই : মার্টিনেজের ভলিতে পেরুর বিপক্ষে জয় পেল আর্জেন্টিনা

খুলনায় কর্মজীবী নারীদের জীবনমান উন্নয়নে ট্রেড ইউনিয়ন চালুর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘সকল নারী কর্মজীবী নারী’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ১৯৯১ সাল থেকে কর্মজীবী নারী নকল শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নারী ও নারী শ্রমিকের ক্ষমতায়ন এবং নারীর শ্রমের স্বীকৃতির জন্য কাজ করছে। এই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় জার্মান দাতা সংস্থা ডিজিবির সহায়তায় ‘কর্মজীবী নারী’ সংগঠন আজ সোমবার সকাল ১০টায় খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশে সামুদ্রিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন (জেডিএল) মিজানুর রহমান।

প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাঃ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, মূল প্রবন্ধ উপাস্থাপন করেন কর্মজীবী নারী সংগঠনের পরিচালক সানজিদা সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন স্কপ খুলনার যুগ্ম আহবায়ক মোঃ খালিদ হোসেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কর্মজীবী নারী সংগঠনের সমন্বয়ক দেওয়ান আব্দুস সাফি।

সভায় বক্তৃতা করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের বিভাগীয় সম্পাদক এড. কুদরৎ ই খুদা, বিশিষ্ট সাংবাদিক গৌরঙ্গ নন্দী, মহানগর শ্রমিকলীগের সাঃ সম্পাদক রনজিৎ কুমার ঘোষ, ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশনের নেতা হুমায়ুন কবির, নারী নেত্রী এড. অলেঅকানন্দা দাস, সেফেল নির্বাহী পরিচালক উজ্জল কুমার রায়, সিপিবি নেতা এইচ এম শাহাদাৎ হোসেন, মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কো-অর্ডিনেটর এড. মোমিনুল ইসলাম,সলিডারিটি সেন্টারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার জাকিয়া পারভীন, মৎস্যজীবী নারী শ্রমিক শিউলী বেগম, ঝর্ণ বেগম প্রমূখ।

সভায় বক্তারা বলেন, খুলনার চিংড়ি মাছ কোম্পানীতে নেই কোন ট্রেড ইউনিয়ন। যা আছে তা মালিক পক্ষ দ্বারা সৃষ্ট। ট্রেড ইউনিয়ন না থাকলে শ্রমিকরা তাদের অধিকার রক্ষা করতে পারে না। দেশে ১৭২টি চিংড়ি হিমায়েত শিল্প কারখানার মধ্যে এখন টিকে আছে মাত্র ১৮টি। এর বাইরেও কিছু কোম্পানী টিকে আছে। তবে তাতে নেই কোন কর্মকান্ড। ব্যাংক ঋণ আদায় আর সরকারি সুবিধা ভোগ করার জন্যই দেউলিয়া হওয়ার পরও এসব কারখানা খুলে রাখা হয়েছে। তবে নারী শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের নানা ইতিবাচক দিক রয়েছে। তা বাস্তবায়ন করতে পারলে চিংড়ি মৎস্য শিল্প ও শ্রমিক উভয়ই ভাল থাকবে। সরকার, মালিক আর শ্রমিক সমন্বয়ে গড়ে তোলা হবে সোনার বাংলাদেশ।সূত্র : খবর বিজ্ঞপ্তি।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!