খুলনায় করোনা ও উপসর্গে গত ২৪ ঘন্টায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে খুলনায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৭৯ জনে।
এদিকে খুমেক আরটি পিসিআর ল্যাবে আরও ৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার ৪০জন। এ নিয়ে খুলনায় করোন আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮০ জন ছাড়িয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, যশোর সদর থানার বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম (৬০) কে ১২ আগস্ট রাত সাড়ে আটটায় সে সময় থেকে তার সার্বক্ষণিক অক্সিজেন এর প্রয়োজন হচ্ছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১২টায় তার মৃত্যু হয়। নুরনগর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মনি (৫০) করো পজেটিভ হয়ে ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টায় ভর্তি হন তার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন শুক্রবার (১৪ আগস্ট) রাত পৌনে ১টায় তার মৃত্যু হয়। যশোর শার্শা এলাকার বাসিন্দা আতিয়ার রহমান বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ভর্তি হন নূরনগর করোনা হাসপাতালে।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনেটে তার মৃত্যু হয়। আতিয়ার রহমানের পরিবারের অভিযোগ মৃত্যুর আগে ঠিক মত অক্সিজেন পাননি আতিয়ার রহমান।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন সেন্টারে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়। নগরীর লবনচরা থানা এলাকার বাসিন্দা খানজাহান আলীর পুত্র সেকেন্দার (৫০) এবং বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট এলাকার বাসিন্দা মৃত বশির উদ্দিন এর ছেলে মোহর আলী। জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১২টায় তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) আরটি-পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় ৭৯ জনের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৪০ জনই খুলনা জেলা ও মহানগরীর। শনিবার (১৫ আগষ্ট) খুমেকের পিসিআর ল্যাব থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের আরটি-পিসিআর মেশিনে শনিবার মোট ২৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিল ১২১ টি। এদের মধ্যে মোট ৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৪০ জন খুলনার।
এছাড়াও খুমেক ল্যাবে বাগেরহাটের ১৫ জন, সাতক্ষীরা ৭, নড়াইল ১, যশোর ১৪, পিরোজপুর ২ ও চুয়াডাঙ্গায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ