খুলনায় এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (০২ জুন) খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ জন।
মৃতরা হলেন- মোংলার আব্দুল জলিল সরদার (৭০), খুলনার রুপসার সায়রা বেগম (৬৮) এবং খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের জিল্লুর রহমান (৬৫)। এ নিয়ে খুলনায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের পিসিআর মেশিনে ১৮৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৪৬ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাটের সাতজন, যশোরের দুইজন, সাতক্ষীরার দুইজন, বরিশালের একজন এবং বরগুনার একজন রয়েছে।
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সোয়া ৯টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল জলিল সরদার (৭০) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তিনি বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার শেলাবুনিয়ার মৃত আব্দুল আজিজ সরদারের ছেলে। তিনি গত ২৮ মে খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এদিন বিকেল সাড়ে ৪ টায় খুলনার রূপসার দেয়াড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত. আব্দুল কাশেমের স্ত্রী সায়রা বেগম (৬৮) করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি গত ৩১ মে খুলনা করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া মঙ্গলবার (০১ জুন) দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে জিল্লুর রহমান (৬৫) নামে আরেক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা এলাকার মৃত. নকিবর রহমানের ছেলে। তিনি গত ৩০ মে খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, বর্তমানে খুলনার করোনা হাসপাতালে ১০৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। যার মধ্যে রেড জোনে ৭৭ জন, ইয়োলো জোনে ৩১ জন এবং ভারতভেরত একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১২ জন।
খুলনা গেজেট/কেএম