খুলনা মহানগরীর মোল্যাপাড়া, জিন্নাহপাড়া, বাগমারা ও হরিণটানা এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করেছে সিটি করপোরেশন। আজ রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে শহরের নিম্নাঞ্চল, পরিত্যক্ত জলাশয় ও পুকুর ভরাট করছে একটি স্বার্থন্বেষী চক্র। গত ১৭ সেপ্টেম্বর খুলনা গেজেটে প্রধান প্রতিবেদন হিসেবে ‘অনুমোদনহীন বালু পাইপ লাইনে ভরাট করছে মহানগরীর জলাশয়’ শিরোনামে স্বচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সংবাদের জেরধরে আজ রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর পাইপসহ আনুষাঙ্গিক যন্ত্রাংশ উচ্ছেদ ও জব্দ করেছে কেসিসি।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) বৈষয়িক কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নগরীর মতিয়াখলি খাল পাড় এলাকায় রূপসা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে নগরীর বাগমারা ও হরিণটানায় জলাশয় ভরাট করছিল টিটু নামের একজন বালু ব্যবসায়ী। সেখানের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানের সময় বুলডোজার দিয়ে কিছু পাইপ ধ্বংস এবং কিছু পাইপ জব্দ করা হয়। এসময় কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মাসুম বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রমতে, খুলনায় বটিয়াঘাটার কাজিবাছা নদীতে একটি মাত্র বালুমহালে ইজারা নিয়ে বৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ঠিকাদার। বাকি সবই অবৈধ। এদিকে, ডুমুরিয়ার সালতা, মরা ভদ্রা, হরি নদী, রূপসার চর মাথাভাঙ্গা, জাবুসা এলাকা, বটিয়াঘাটার আমতলী নদী, কয়রার কপোতাক্ষ নদের গাববুনিয়া, হরিণখোলা ও মদিনাবাদ লঞ্চ ঘাট, শাকবাড়িয়া নদীর কাটকাটা, ৬নং কয়রা, কয়রা নদীর গিলাবাড়ি, চাঁদআলীসহ কয়েকটি স্থানে ড্রেজার দিয়ে মাসের পর মাস বালু উত্তোলন করে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। এরআগে, ১৩ সেপ্টেম্বর বটিয়াঘাটা উপজেলার আমতলী নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে দায়ী ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫দিনের কারাদন্ড দেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাশেদুজ্জামান। তাতেও বন্ধ হয়নি খুলনায় অবৈধ বালু উত্তোলন।
খুলনা গেজেট/এআইএন