খুলনার দৌলতপুরের মিরেরডাংগা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নাছিরুদ্দীন মুহাম্মাদ হুমায়ুনের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাল পাড়ার ২/১ তেলীগাতি মেইন রোডের একতলা বাড়িতে লোহার গেট এবং কাঠের দরজা ভেঙে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
এ সময় পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা, দুটি লেন্স, ট্রাইপড, দুটি স্মার্টফোনসহ আনুমানিক আট লাখ টাকার বেশি মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় চোর দলের সদস্যরা।
এছাড়া অধ্যক্ষ মাওলানা নাছিরুদ্দীনের স্ত্রী পল্লীতীর্থ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাহবুবা খাতুনের কাছে, করোনাকালীন স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলের সংরক্ষিত প্রজেক্টর এবং স্কুলের আলমারি ও অন্যান্য তালার চাবি এবং শিক্ষিকার ব্যাংকের চেক বই নিয়ে গেছে চোর দলের সদস্যরা।
ঘটনার সময় অধ্যক্ষ মাওলানা নাছিরুদ্দীনের ঘুম ভেঙে গেলে তিনি চোর দলের সদস্যদের আটকের চেষ্টা করলে তাকে আহত করে পালিয়ে যান তারা।
অধ্যক্ষ নাছিরুদ্দিন বলেন, রাতে আমি খটমট শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠে পড়ি। উঠে দেখি আমার পুরো ঘর তছনছ করা হচ্ছে। মাথায় কাপড় বাধা একজন লোক অন্ধকারে আমার ঘরের মালামাল চুরি করছে। আমি তাকে প্রতিহত করার উদ্দেশে জাপটে ধরার চেষ্টা করলে তিনি আমাকে ধাক্কা দেয়। এতে আমি মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হই। এ সুযোগে তারা পালায় যায়। এরপর আমার বাসার লোকেরা ঘুম থেকে উঠে দেখে পুরো বাড়ির অধিকাংশ মূল্যবান মালামাল চুরি হয়ে গেছে। পরে চোরের পিছু ধাওয়া করেও তাকে আমরা তাদের ধরতে পারিনি। ঘর অন্ধকার থাকায় চোরের চেহারা দেখা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে চোর দলের সদস্যরা দুই থেকে তিনজন ছিলেন।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দৌলতপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মহি উদ্দিন বলেন, অধ্যক্ষ নাছিরুদ্দীনের বাড়িতে চুরির ঘটনা শুনে সরেজমিনে এসেছি। অধ্যক্ষ জিডি অথবা মামলা করলে পুলিশ তার ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেবে।
খুলনা গেজেট/কেএম