খুলনাসহ পাঁচ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের জন্য আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। এ সভায় আগামী সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেয়াদ শেষ হবে বলে গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের আগে করতে হচ্ছে। আগামী মে মাসের শেষ থেকে জুনের মধ্যে উল্লেখিত পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আয়োজনের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত কমিশন সভায়।
আর এখন কোন সিটি করপোরেশনে কবে নির্বাচন হবে, এ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সোমবার সকালে সভা বসবে। এতে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকবেন।
রবিবার (২ এপ্রিল) ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ বিষয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সভায় সিটি করপোরেশনের ভোটের তফসিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
তিন ধাপে ওই পাঁচ সিটিতে নির্বাচনের ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরে আগে এবং বাকি চার সিটিতে দুই ধাপে নির্বাচন হতে পারে। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে একটি, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুটি এবং জুনের তৃতীয় সপ্তাহে দুটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ইচি সচিবালয়ের প্রস্তাবনা পর্যালোচনার পর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হলে পরবর্তী নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা অগ্রসর হবো।
স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের মেয়াদ প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছরের। আর এ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ছয় মাস, অর্থাৎ ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হয়।
পাঁচ সিটি করপোরেশনের মধ্যে গাজীপুরে সবশেষ ভোট হয়েছিল ২০১৮ সালের ২৬ জুন। খুলনায় ২০১৮ সালে ১৫ মে এবং রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটে সবশেষ ভোট হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই।
এদিকে চলতি বছরের নভেম্বর থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হবে। আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি
