খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫
  গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুনে নিহত ১

খুলনার সাংবাদিকতায় জীবন্ত কিংবদন্তী মনিরুল হুদা

কাজী মোতাহার রহমান

মনিরুল হুদা। খুলনার সকল স্তরের মানুষের কাছে শ্রদ্ধাভাজন ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। আস্থার প্রতীক। খুলনার সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতায় জীবন্ত কিংবদন্তী। এ অঞ্চলের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের গর্ব ও অহংকারের অগ্রজ সহকর্মী। তিনি দক্ষ পেশাজীবী হিসেবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উদাহরণ। পাকিস্তান পর্বে এবং বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরের নানা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। ১৯৫২ সাল থেকে শুরুর করে আজ অবধি তিনি সংবাদপত্র জগতে পদচারণা করে চলেছেন। এ গর্ব দক্ষিণাঞ্চলবাসীর। খুলনার সাংবাদিকতায় এক অনন্য ইতিহাস। ৬৯ বছর সংবাদকর্মী হিসেবে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে উদাহরণ একমাত্র তিনি। দীর্ঘ সময়ে খুলনার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিল্প-কলকারখানা স্থাপন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, পীর খানজাহান আলী (র.) সেতু, মেডিকেল কলেজ, বিমান বন্দর, শহর রক্ষা প্রকল্প, মংলা বন্দর আধুনিকায়ন, সর্বোপরি সুন্দরবনকে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি ধীমান সাংবাদিকের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর নানামূখী প্রতিভা দৃশ্যমান। তিনি ভাষা সৈনিক, সাবেক ছাত্রনেতা, সাংবাদিক নেতা, আয়কর আইনজীবী ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন।

বৃটিশ শাসনামলে মনিরুল হুদা বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। দিনটি ১৯৩৭ সালের ২৭ নভেম্বর। মরহুম সামছুল হুদা তাঁর পিতা। তিনি বাগেরহাটে মহকুমা প্রশাসক ছিলেন। মরহুমা আমেনা খাতুন তাঁর মা। তাঁর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্বটি কেটেছে বাগেরহাটে। সেখানেই তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। একই বছর ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সংবাদ ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সত্যযুগ পত্রিকায় বাগেরহাট থেকে ডাকযোগে সংবাদ পাঠাতে শুরু করেন। নিছক কৌতুহল বশত: খবর লিখে পাঠানো, পরবর্তীতে তা ছাপার অক্ষরে দেখা এবং তাই সারাজীবন নেশার মতোই তাঁকে তাড়িয়ে নিয়ে বেরিয়েছে।

শুরুর পর্বে স্বাভাবিকভাবে তিনি ছিলেন খন্ডকালীন সংবাদদাতা। পেশাজীবী নন। তবে ওটাই তাঁর সাংবাদিকতার শুরু। পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি ১৯৫৩ সালে তার সম্পাদনায় বাগেরহাট থেকে মাসিক বিদ্যুৎ নামে পত্রিকা প্রকাশ করেন। এখানে বলে রাখা ভালো, ১৯৫৩ সালে কবি হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় ঢাকা হতে একুশে সংকলন প্রকাশিত হয়। আর সারা পূর্ব-পাকিস্তানের জেলা-মহকুমা পর্যায়ে অসংখ্য সংকলন প্রকাশিত হতে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধ এবং তার পরেও অনেকদিন একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে এরকম অগণিত পত্রিকা, স্মরণিকা প্রকাশিত হতো। মনিরুল হুদা সম্পাদিত বিদ্যুৎ নামের পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হতো। পর পর আট সংখ্যা প্রকাশিত হয়। তারপর মনিরুল হুদা উচ্চ শিক্ষার জন্য চলে যান রাজশাহী কলেজে। ফলে বাগেরহাট হতে বিদ্যুত-এর প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগেই ১৯৫০ সালের ১১ ডিসেম্বরের একটি ঘটনা তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা ঘটনা। ওইদিন চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পশুর নদীর জয়মনির গোল-এ “সিটি অব লিয়ন্স” নামের একটি বিদেশী জাহাজ নোঙ্গর করে। বন্দরে নোঙ্গর করা জাহাজটির ছবি তিনি ক্যামেরাবন্দি করেন। তখন তিনি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী। পিতা বাগেরহাট মহকুমার প্রশাসক। এ কারণেই তিনি বন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর ধারণ করা ছবিটিই পরবর্তীতে বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত ইয়ার-বুকে ছাপা হয়।

১৯৫৩ সালে মনিরুল হুদা বাগেরহাট টাউন হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৫৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৫৭ সালে একই কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫৫ সালে রাজশাহী কলেজ ছাত্র-সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তবে বিশেষ কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। প্রত্যক্ষভাবে কখনোই রাজনীতির সাথে জড়িত হননি।
১৯৫৯ সালে তিনি আয়কর আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৬-২০১৯ বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।

সাংবাদিকতার প্রতি আগ্রহের কারণেই ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে তিনি দৈনিক পাকিস্তান-এ যোগ দেন। আত্মপ্রকাশের প্রথম দিন থেকে ১৯৯৭ সালে দৈনিক বাংলা বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত তিনি খুলনা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ পত্রিকার ইতিহাসে তিনিই দীর্ঘদিনের কর্মী হিসেবে রেকর্ড সৃষ্টি করেন। এই সময়ে দৈনিক বাংলা যেমন অনেক পরিবর্তিত হয়েছে, তেমনি খুলনার সাংবাদিকতায়ও পরিবর্তন এসেছে। মূলত: খুলনার সাংবাদিকতা স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত পত্রিকা এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রের কর্মী এই দুইভাগে বিকশিত হয়। ঢাকাভিত্তিক সংবাদপত্রগুলো প্রধানত: বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পরিবেশিত হতো। মনিরুল হুদা ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ পূর্বকাল থেকেই এখানে দৈনিক অবজারভার-এ আবু সাদেক, টাইম-এ সাহাবুদ্দিন আহমেদ কাজ করতেন। সাংবাদিকতাটি ছিল মূলত: ঘটনা-নির্ভর।

দৈনিক বাংলা থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি বেশ কিছুদিন সংবাদপত্র হতে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। আবারও ২০০৬ সালের ১০ জানুয়ারীতে তিনি দৈনিক জন্মভূমি’র প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেন। আজও তিনি সেই দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

আগরতলা মামলা প্রত্যাহার, বাগেরহাটে ছাত্রদের মিছিলে হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ১৯৬৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে খুলনা ছিল উত্তাল। ওইদিন বিকেলে খালিশপুরে শ্রমিক-জনসভা ছিল। সকালে শিপইয়ার্ড এলাকা থেকে একটি জঙ্গি মিছিল হাজি মহসিন রোডের দিয়ে মিউনিসপ্যিাল পার্কে (শহীদ হাদিস পার্ক) আসছিল। এ রোডের মাঝামাঝি স্থানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও খুলনা পৌরসভার প্রশাসক সৈয়দ আফজাল কাহুতের সরকারি বাসভবনের সামনে পুলিশের গুলিতে লন্ড্রী শ্রমিক হাদিসুর রহমানসহ তিন জন শহীদ হন। এই খবর শুনে বিকেলে খালিশপুর এলাকা হতে শ্রমিকরা মিছিল করে খুলনায় আসেন এবং সার্কিট হাউস ময়দানে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় সন্ধ্যা নাগাদ জনসভায় অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধরা আইয়ুব খান সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী খান-এ সবুরের বাসভবনে হামলা করে। তখন ইপিআর-এর গুলিতে কটন মিলের শ্রমিক আলতাফ হোসেন ও রূপসা স্কুলের শিক্ষার্থী প্রদীপ মিস্ত্রীসহ সাত থেকে আট জন নিহত হয়। সহকর্মী আশরাফ উদ্দিন মকবুল ও আবু সাদেকের সাথে তিনি এ ঘটনাগুলো প্রত্যক্ষ করেন। প্রেস টেলিগ্রাম করে সংবাদটি দৈনিক পাকিস্তান কার্যালয়ে পাঠান। যেটি পরের দিন বিস্তারিত প্রতিবেদন ছাপা হয়।

১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধকালে, মার্চের শুরুতেই তিনি তাঁর নিজের বন্দুক ও পিস্তলের গুলি হাজি মহসিন রোডের অধিবাসি মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তার বাসভবনের অদুরে ছিল সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা শাখার অফিস। স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকাল নিয়ে খুলনা হতে সাড়া জাগানো প্রতিবেদনগুলো ছিল তাঁর। দৈনিক বাংলায় ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, ১২ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি “খুলনায় পাকবাহিনীর নরধেমযজ্ঞ” শিরোনামে প্রতিবেদনগুলো ছাপা হয়। পাক-বাহিনীর নির্যাতনের খবরে দেশী-বিদেশী সাংবাদিকরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। বিস্ময়রকর হলেও সত্যি যে, একাত্তরে খুলনায় পাক-বাহিনী ও তাদের দোসরদের অত্যাচার-নির্যাতনের সেটাই একমাত্র তথ্য-ভিত্তিক সংবাদপত্রের প্রতিবেদন। যা কবি-সাংবাদিক হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রের অষ্টম খ-ে ঠাঁই পেয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমরেন্দ্রনাথ গোস্বামী রচিত ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান নামক গ্রন্থে ১৯৭২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি বর্ণিত হয়েছে। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য ও আলোড়িত সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে “ঘুষের বদলে জুতো”। যা ১৯৬৬ সালে দৈনিক পাকিস্তান-এ প্রকাশিত হয়। খুলনা শহরের মুন্সিপাড়ার এক অধিবাসীর কাছে কালেক্টরেটের কেরানী ঘুষ দাবি করে। মুন্সিপাড়ার এ অধিবাসী ঘুষ দাবি করার অপরাধে কেরানীকে জুতোপেটা করেছিলেন। এই বিষযটিকে নিয়েই প্রতিবেদনটি লেখা। আর এখনতো ঘুষ একটি স্বাভাবিক বিষয়। ঘুষ না দিলে কোন কাজ হয়না, এটা দু’পক্ষ -ঘুষ-দাতা ও গ্রহীতা উভয়েরই জানেন ও মানেন।

সাংবাদিকতা, আয়কর আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি তিনি প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেছেন। রাষ্ট্রপতি লে: জে: হুসেইন মোহম্মদ এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৩ সালের জুলাই মাসে তিনি খুলনা পৌরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান মনোনীত হন।

১৯৯০-৯১ সালে তিনি খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য খুলনা পৌরসভার শতবর্ষ অনুষ্ঠানে সম্মানিত হন। এছাড়া কেসিসি’র মেয়র পদক লাভ করেন। খুলনা প্রেসক্লাবের রজত-জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ১৯৯২ সালে রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের নিকট হতে তিনি সাংবাদিকতায় ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি খুলনা প্রেসক্লাবের আজীবন সম্মাননা পদক, রূমা স্মৃতি পদক, খুলনা ক্লাবের প্রবীণ অগ্রপথিক পদক লাভ করেছেন।

তিনি একজন দায়িত্বশীল নাগরিকও। খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২০০৮ সালে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক সেরা করদাতা (ব্যক্তি পর্যায়) নির্বাচিত হন।

খুলনাবাসী, খুলনার আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও তিনি ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৮৫ সালের ৯ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন সাংবাদিক পরিষদের আহবায়ক মনোনীত হন। তার নেতৃত্বে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশ নেন।

সাংবাদিকতার কারণেই তিনি বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ন্যাপ প্রধান মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল মোঃ আইয়ুব খান, পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেত্রী মিস ফাতেমা জিন্নাহ, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানী, মাদার তেরেসা, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল এইচ এম এরশাদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারতের সাবেক সেনা প্রধান জেঃ মানেক শ’ ও এভারেস্ট বিজয়ী নেপালী তেনজিং নোরগে-এর সংস্পর্শে এসেছেন; তাঁদের অনেকের সাক্ষাৎ পেয়েছেন। রাষ্ট্রনায়কদের খুলনা সফরের উপর ভিত্তি করে দৈনিক পাকিস্তান ও দৈনিক বাংলায় একাধিক প্রতিবেদনও ছাপা হয়েছে।

১৯৯১ সাল পরবর্তী বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সমন্বয় সংগ্রাম কমিটি ১৮ দফা দাবি নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ কমিটির ২৯ সদস্য প্রতিনিধি দলের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি খুলনাবাসীর পক্ষ থেকে রূপসা নদীর উপর সেতু, বিমান-বন্দর, ওয়াসা, মোংলা বন্দরের ড্রেজিং, শহর রক্ষা প্রকল্প ও খুলনা-মাওয়া সড়ক প্রশ^স্তকরণের দাবি উত্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী রূপসা নদীর ওপর সেতু, খুলনা-মাওয়া সড়ক প্রশ^স্তকরণ ও মোংলা বন্দর ড্রেজিং-এর বিষয়টি প্রাধান্য দেন।

তিনি পেশাগত কাজে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ব্যাংকক, তাইওয়ান, নেপাল, ভূটান ও শ্রীলংকা সফর করেছেন। ১৯৮৪ সালে পবিত্র হজ্ব পালন করেন। তার পরিবার ১৯৫৩ সালে খুলনায় আসেন। ১৯৬৫ সাল থেকে হাজি মহসিন রোডে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। দু:খজনক হলেও সত্যি, অতি সম্প্রতি তিনি খুলনার বাসভবনটি হস্তান্তর করেছেন। তিনি তিন কন্যা ও এক পুত্রের জনক। তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।

(নিবন্ধটি খুলনার রিপোর্টার্স ইউনিটি -কেআরইউ’র সম্মাননা অনুষ্ঠানে পঠিত)

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, খুলনা গেজেট ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, খুলনা প্রেসক্লাব।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!