খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  মানবতাবিরোধী অপরাধ : চিফ প্রসিকিউটর দেশে না থাকায় ফখরুজ্জামান ও সাত্তারের জামিন শুনানি ২ সপ্তাহ পেছাল আপিল বিভাগ
  আজ থেকে জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ শুরু
  অ্যান্টিগা টেস্ট: শেষ দিনে বাংলাদেশের দরকার ২২৫ রান, হাতে ৩ উইকেট

খুলনার মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের সমাগম

নিজস্ব প্রতিবেদক

সমাগত ঈদুল ফিতর। রাত পার হলেই থাকবে আর ৮ দিন। আর এরই মধ্যে জমে উঠেছে খুলনার বিপনী বিতানগুলো। ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মার্কেটগুলো। বেচাকেনা ভাল হলেও ক্রেতাদের অভিযোগ এবার ঈদের পোষাকের মূল্য দ্বিগুণ। আর তা কিনতে গিয়ে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন।

খুলনা বিপনী বিতান, নিক্সন মার্কেট, জব্বার মার্কেট, কাজী নজরুল ইসলাম ও শপিং কমপ্লেক্সে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। গবীরের মার্কেট ফুটপাতগুলোতে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। তাদেরকে সামলাতে গিয়ে দোকানীদের হিমশিম খেতে হয়।

নিক্সন মার্কেটের বিক্রেতা শেলী গামের্ন্টেসের কর্ণধর বলেন, রমজানের প্রথমদিকে বেচা কেনায় বেশ ভাটা ছিল। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতাদের সমাগম দেখা যাচ্ছে বেশী।

শপিং কমপ্লেক্সের ঐশিকা ফ্যাশনের মালিক উৎপল কুমার জানান, আজ দু’দিন ধরে বেচাকেনা বেড়েছে। বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও খুলনার মানুষের মধ্যে ঈদ আমেজ বেশি দেখা যাচ্ছে। বেচাকেনা বেশি হওয়ায় তিনি বেশ খুশি। তবে এবারে পোষাকের দাম বেশি বলে তিনি স্বীকার করেছেন। পোষাকের দাম বৃদ্ধির জন্য তিনি বলেন, বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য পোশাকের দাম বেড়েছে। তবে তিনি খুলনা গেজেটকে জানালেন, এবার গরমে নারীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে সুতীর পোষাক আর কিশোরীদের রয়েছে নাইরা কাট। নাইরাকাটের মূল্য সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। আর নারীদের সুতি পোষাকের মূল্য ধরা হয়েছে ২২/২৩শ’ টাকার মধ্যে।

ঈদে পোষাকের দাম বৃদ্ধির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাটাখালীর বাসিন্দা সৈয়দ আলী শান হিরক বলেন, বেলা ১১ টার বাড়ি থেকে বোনকে সাথে নিয়ে কাপড় কেনার উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন। ১২ টায় শপিং কমপ্লেক্সে পৌছেছেন। এরমধ্যে ১০টি দোকান ঘুরেছেন। কিন্তু কোথাও ব্যাটে বলে মিলছেনা বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

কুসুম শিকদার এসেছেন ছেলে মেয়ের জামা কিনতে। এদিক সেদিক ঘুরে বাজেটের সাথে মেলাতে পারনেনি তিনি। তাই ছেলে মেয়েদের শান্তনা দিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন। এ সময়ে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, বড় লোকদের অনেক আছে। আর যারা হাত পেতে জিনিষ নেয় তাদের কোন সমস্যা নেই। আর মধ্যবিত্তের কান্না কেউ দেখে না।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!