শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দূর্গোৎসব নিশ্চিত এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য নগরীর মন্ডপগুলোতে আলোকসজ্জা করার দাবি তুলেছে পূজা উদযাপন কমিটি। পর্যাপ্ত ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়া সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিষ্ফল হবে। আলোকসজ্জা না হলে উৎসব নিষ্ফল এবং দুর্বৃত্তদের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আজ দুপুরে পূজা উদযাপন পরিষদের মহানগর শাখার সভাপতি শ্যামল কুমার হালদার এ দাবির কথা তুলে ধরেন।
পূজা উদযাপন কমিটির এ নেতা উল্লেখ করেন, করোনা মহামারির কারণে গত দু’বছরে শারদীয় দূর্গোৎসবে আনন্দ উৎসব ছিল না। এবার মহানগরী এলাকায় দূর্গোৎসব উদযাপনের জন্য ১’শ ৩০ টি মন্ডপ স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত বছর কুমিল্লার মন্ডপে অপ্রীতিকর ঘটনার পর এবারও হিন্দু সম্প্রদায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি দোকানপাট রাত ৮ টার পরিবর্তে রাত ৯ টা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবি করেন।
নগর পূজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বল ব্যানার্জী এ প্রতিনিধিকে বলেন, দূর্গোৎসবের পূর্বে সাতক্ষীরায় ২ টি মন্ডপ ভাঙা হয়েছে। খুলনা আদি কালি বাড়ি, খালিশপুর, দৌলতপুর ও কৈ পাড়ার মন্দির কমিটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গেল বছর রূপসার মহাশ্মশান পূজা মন্ডপে ১৮ টি বোমা উদ্ধার করার সাথে কারা জড়িত RAB আজও পর্যন্ত তা প্রকাশ করেনি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর সকল পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে বলা হয়েছে। মন্ডপ তৈরির এ সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রতিদিন পুলিশি টহল দেয়া প্রয়োজন।
অপর এক সূত্র বলেছে, জেলায় ৮’শ ২২ টি মন্ডপে দূর্গোৎসবের প্রস্ততি চলছে। আগামী ১ অক্টোবর দূর্গোৎসবের ষষ্ঠী, ৫ অক্টোবর বিজয়াদশমী ও বিসর্জন।
খুলনা গেজেট/এসজেড