প্রতারণার মাধ্যমে সুফিয়া বেগম নামের ষাটোর্ধ্ব এক মহিলার স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। বুধবার (১৩ অক্টোবর) নগরীর নতুন রাস্তা রেলক্রসিং রোডে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে স্থানীয়রা প্রতারণার সাথে জড়িত থাকায় কাউকে আটক করতে পারেনি। সবকিছু হারিয়ে কাঁদতে থাকেন সুফিয়া বেগম। ওই এলাকায় এটি নতুন ঘটনা নয়, একই ধরণের ঘটনা আগেও ঘটেছে।
সুফিয়া বেগম এ প্রতিবেদককে জানান, বুধবার সকালে তিনি খুলনা মহাহিসাব রক্ষকের (এজি) কার্যালয়ে আসেন। দু’দিন আগে তার দেবর মারা যান। দেবর সরকারি চাকুরীজীবী হওয়ায় সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর সোনাডাঙ্গা যান তিনি। সেখান থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। বেলা পৌনে ১২ টার দিকে নগরীর নতুন রাস্তা মোড়ে পৌছালে অপরিচিত দু’জন লোক এসে তার হাত ধরে বলে রাস্তা পার করে দিচ্ছি। রেলক্রসিং মোড়ে আসলে ওই দু’জন তার হাত থেকে ব্যবহৃত ব্যাগ নেওয়ার পর কানের দুল খুলতে বললে খুলে দেন তিনি। এরপর ওই প্রতারক দু’জন সটকে পড়ে। কিছুক্ষণ পর হুশ ফিরে আসলে ব্যাগ ও কানের দুল খুঁজতে থাকেন সুফিয়া বেগম। ব্যাগের ভেতর নগদ কিছু টাকা প্রয়োজনীয় কাগজ ও মোবাইল ছিল। সবকিছু হারিয়ে তিনি কাঁদতে থাকেন। তিনি বঙ্গবাসী স্কুল সংলগ্ন আনসার উদ্দিনের স্ত্রী।
গতমাসে একই চিত্রের অবতারণা হয় ওই একই স্থানে। ১৫ সেপ্টেম্বর রেলক্রসিং এলাকার আব্দুল জলিলের স্ত্রী রেহেনা বেগমের কাছ থেকে একইভাবে প্রতারণার মাধ্যমে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় প্রতারক চক্র। উপস্থিত অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, বয়স্ক ও সরলসোজা মহিলারা এদের টার্গেট। ইতিপূর্বের ঘটনাগুলো খালিশপুর থানায় অবগত করা হলেও থানা পুলিশ সেখানে কোন অভিযান চালায়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
খুলনা গেজেট/এনএম