এখন আর ফাল্গুন মাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। ডুমুরিয়া, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা থেকে প্রতিদিন তরমুজ আসছে। ট্রাক ও পিকআপ ভরে তরমুজ পাঠায় চাষীরা। খুলনার কদমতলা আড়তের কয়েকটি দোকানে বর্ষা মৌসুমে ভারপুর তরমুজের আমদানি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দফায় দফায় তরমুজ এসেছে স্থানীয় আড়তে। প্রতি কেজির পাইকারি মূল্য ২০ টাকা, খুচরা মূল্য ২৫ টাকা। আশ্বিন-কার্ত্তিক মাস পর্যন্ত তরমুজ আসতেই থাকবে। এ মৌসুম শেষ হবে অগ্রহায়ণের প্রথম থেকে। বর্ষা মৌসুমে মাচায় তরমুজ চাষ করে কৃষকদের যেমন বাড়তি আয় হচ্ছে, তেমনি দিন মজুরদের কর্মসংস্থানের সুযোগও হয়েছে। সবজি বাগান থাকায় করোনা মহামারীতে দিন মজুরদের বেকার জীবন কাটাতে হয়নি।
দাকোপ উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রাম থেকে দুলাল সরকারের পুত্র জ্যোতি সরকার কদমতলা মোকামে এক পিকআপ তরমুজ এনেছেন। এর সাথে রয়েছে প্রতিবেশীদের উৎপাদিত তরমুজ। গ্রাম থেকে কদমতলা মোকাম পর্যন্ত ৮শ’ পিস তরমুজের পরিবহন খরচ ৩ হাজার টাকা।
চাষীর পুত্র দুলাল জ্যোতি সরকার জানান, ফাল্গুন মাসের ন্যায় ক্যাতেনাংলা, আমতলা, চালনা, বয়ারভাঙ্গা ও কালি নগরের বর্ষা মৌসুমে মাচায় এর চাষ হয়েছে। সরকার পরিবার ২বিঘা জমিতে ২ হাজার ৬শ’ চারা রোপন করে। ৯০ দিন পর ঘেরের আইলের মাচায় তরমুজ ঝুলতে থাকে। এ পর্যন্ত উৎপাদন খরচ ৪০ হাজার টাকা। ৬৫ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে এ কৃষক পরিবার আশাবাদী।
চাষী তরমুজের পাশাপাশি ঘেরে বাগদা ও ভেটকির চাষ করেছে। অগ্রহায়ণ মাসে শুষ্ক মৌসুমের তরমুজের আবাদও করবে এই আইলে। তার জন্য জৈব সার হিসেবে গোবরও মজুদ করছে।
খুলনা গেজেট/এনএম