খুলনায় বই লাইব্রেরীর কর্মচারী রফিকুল ইসলাম মোল্লা (৫৫) হত্যার প্রধান আসামী চান মিয়া (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬ সদস্যরা। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে (০৩ মে) র্যাব-৬, (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল র্যাব-৮, সদর কোম্পানী, বরিশাল এর সহযোগিতায় বরিশাল জেলার মুলাদী থানাধীন ব্রিজির পূর্বপাশ এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করে। চান মিয়া ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজলার পরম পসরা গ্রামের আলম সরদারের ছেলে। সে খুলনার রূপসা রাজাপুর ক্লাব রোড মামুন এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া ছিল
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
র্যাব জানানয়, রফিকুল খুলনা সদর থানাধীন ৪৭ কেডি ঘোষ রোড পাঠক প্রিয় লাইব্রেরীতে চাকুরি করতেন এবং পাঠক প্রিয় লাইব্রেরীর ৩য় তলার গোডাউনের পার্শ্বে তিনি বসবাস করতেন। আসামীদ্বয় একই লাইব্রেরীতে লেবার এর কাজ করতো। সেই সুবাদে আসামীদ্বয়ের সাথে ভিকটিমের মাঝে মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতো এবং পরবর্তীতে তারা আবার একই সাথে কাজ করতো। গত ০১ এপ্রিল রাত অনুমান সোয়া ৮টার দিকে লাইব্রেরীর সকল কর্মচারীগণ লাইব্রেরী তালাবদ্ধ করে তারাবির নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে যায়। পরবর্তীতে রাত্র সড়ে ১০টার দিকে লাইব্রেরীর কর্মচারীগণ তারাবির নামাজ আদায় শেষ করে লাইব্রেরীর ম্যানেজার শাহজাহান (৫৫) দেখতে পান লাইব্রেরীর ৩য় তলার গোডাউনের পিছনের দরজা খোলা। গোডাউনের রুমের মধ্যে পিছন দরজার সামনে ভিকটিমের রক্তমাখা লাশ পড়ে আছে। ম্যানেজার শাহজাহান ভিকটিমের রক্তমাখা লাশ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন। তারা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এক পর্যায়ে গোডাউনে লাগানোর সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনায় দেখা যায় ভিকটিমকে মোঃ চাঁন মিয়া সরদার (৪৫) এবং মোঃ হৃদয়(২৫) মারপিট করে এবং গলায় বই বাঁধার সুতার তৈরী পাঁকানো কালো চিকন রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকে আসামীদ্বকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে কেএমপি খুলনার খুলনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি