আজ সোমবার সকাল থেকে মেঘে ঢেকে ছিল নগরী খুলনা। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পর দুপুর গড়ানোর পরে আরও ঘণীভূত হয় মেঘ। বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয় মাঝারী ধরনের বর্ষণ। রাত ৯টা পর্যন্ত ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতেই রয়েল মোড়, পিটিআই মোড়, ময়লাপোতা, সাত-রাস্তাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক বাহারুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট তলানোর কারণে শিক্ষার্থীরা সময়মত পড়তে আসতে পারে না। বিশেষত মেয়েরা এসময়ে আসে না।’
নগরীর সাতরাস্তা মোড়ে থাকা রিকশা চালক জালাল মোল্লা বলেন, ‘রিক্সা চালিয়ে আমার সংসার চালাতে হয়। বৃষ্টির দিনে ভাড়া কম হয়, ফলে সংসার চালাতে আমার কষ্ট হয়ে যায়।’
মডার্ণ ফার্নিচার মোড়ের স্থায়ী বাসিন্দা রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘অপরিকল্পিত নগরায়ন, ড্রেনেজগুলো পরিষ্কার না করা, বৃষ্টি মৌসুমের পূর্বে রাস্তা মেরামত ও ড্রেনগুলোর সংস্কার না করাসহ নানান কারণে হালকা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের।’
কেবল প্রবল বৃষ্টিতে না, বরং সামান্য বৃষ্টিতেও খুলনার রয়েল মোড়সহ নানান জায়গায় এই দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি সহজেই লক্ষণীয়- কর্তৃপক্ষ যত দ্রুত স্থায়ীভাবে পদক্ষেপ না নেবে, ততক্ষণ নগরবাসীর ভোগান্তি অব্যাহত থাকবে। এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থী, চলাচলকারী, স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীরা।
খুচরা সবজি বিক্রেতা নাসির ফরাজি খুলনা গেজেটকে বলেন, ‘বৃষ্টিতে কাস্টমার আসে না, সারাদিনে শ’পাঁচেক টাকারমত বিক্রি করতে পারছি।’
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হচ্ছে। আজ রাত ৯টা পর্যন্ত খুলনায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি আগামীকাল মঙ্গলবারও অব্যাহত থাকবে। বুধবার থেকে কিছুটা কমবে।
খুলনা গেজেট/রহমাতুল্লাহ/এমএম