ঈদের সালামি মানেই কড়কড়ে নতুন টাকার নোট। এটাই যেন রীতি হয়ে গেছে। এ জন্য প্রতিবছর ঈদ এলেই বাড়ে নতুন নোটের চাহিদা। নকশা বিড়াম্বনার কারণে গত রোজার ঈদে বাজারে নতুন টাকা ছাড়া হয়নি। এবার ঈদের আগে গত ১ জুন থেকে বাজারে নতুন নোট ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অথচ নতুন ছাপা হওয়া এই নোট খুলনায় আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা কার্যালয়ে নতুন নোট না পৌঁছায় সরকারি-বেসরকারি কোনো ব্যাংকই নতুন নোট পায়নি। যার কারণে গ্রাহক পর্যায়ে নতুন নোট সরবরাহ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ তারা। আপাতত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন নোটের ছবি দেখে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর টাকা ছাপানো বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ, সব ধরনের টাকা ও ধাতব মুদ্রায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল। পাশাপাশি যেসব নোট ছাপানো ছিল, তা–ও বাজারে ছাড়া বন্ধ করে দেয়। ফলে ছেঁড়াফাটা ও পুরোনো ময়লা নোটে বাজার সয়লাব হয়ে যায়। এ জন্য নতুন টাকার চাহিদা এখন তুঙ্গে।
বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ব্যাংকিং) মনজুর রহমান জানান, বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা কার্যালয়ে কোনো নতুন নোট পৌছেনি। যার কারণে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে আমরা নতুন প্রিন্টে হওয়া নোট সরবরাহ করতে পারেনি।
নতুন নোট না পাওয়ায় বিপাকে রয়েছে খুলনার তফসিল ব্যাংকগুলো। গ্রাহকরা দিনভর নতুন নোটের জন্য ঘোরাঘুরি করেছেন। নোট না পেয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
অগ্রণী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও খুলনা অঞ্চল প্রধান মো. মশিউল ইসলাম বলেন, নতুন প্রিন্ট হওয়া নোট নিয়ে সবার আগ্রহ ছিল। কিন্তু নতুন নোটের জন্য চাহিদা দিয়েও আমরা পাইনি।
এদিকে ঈদে নতুন বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করা ব্যবসায়ীরাও এবার কষ্টে রয়েছেন। পরপর দুই ঈদে নতুন নোট না পাওয়ায় অনেকের ব্যবসা প্রায় বন্ধ।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, অনেকেই নতুন নোট সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন। কিন্তু হতাশ হতে হচ্ছে সবাইকে। কয়েকজনের কাছে আগের নোট থাকলেও সেটা নিতে চাইছেন না অনেকে।
খুলনা গেজেট/হিমালয়