চব্বিশের গৌরবময় গণঅভ্যূথানের ইমেজ ধরে রাখতে নব গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি আগামী রোববার খুলনায় আত্মপ্রকাশ করছে। খুলনা ক্লাবে ইফতার মাহফিলের মধ্যদিয়ে দলটি প্রকাশ্যে আসবে। এ অনুষ্ঠানে আটটি রাজনৈতিক দলসহ দুই হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ঈদের পরে খুলনা ও নগরের সাংগঠনিক রূপ নেবে। ইতিমধ্যেই জেলা ও নগর পর্যায়ে তাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। দল আত্মপ্রকাশের দিন খুলনা থেকে ৫০টি বাস যোগে স্থানীয় কর্মীরা ঢাকার অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ ও সেকেন্ড রিপাবলিক শ্লোগান দিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদ প্রঙ্গণে এ দল আত্মপ্রকাশ করে। জুলাই-আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী কয়েকজন খুলনায় দলকে সংগঠিত করতে নেমেছে। তাদের সাথে কয়েকজন বুদ্ধিজীবী সম্পৃক্ত হয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলের বড় জেলা যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলায় দলকে সংগঠিত করার দায়িত্ব পালন করছেন মেজবাহ কামাল মুন্না। তিনি কেন্দ্রের যুগ্ম মূখ্য সংগঠক। বাগেরহাট জেলাকে সংগঠিত করছেন যুগ্ম মূখ্য সংগঠক মোল্লা রহমতউল্লাহ।
রোববারের ইফতার মাহফিলে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম ও ইমাম পরিষদের নেতৃবৃন্দকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে। দলের কর্মী, সংগঠক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন দু’হাজার ব্যক্তি। মাহফিলে ইফতার সামগ্রীর জন্য জন প্রতি ৪’শ টাকা, উপহার সামগ্রীর মূল্য ২’শ টাকা ব্যয় হবে। সব মিলিয়ে এ অনুষ্ঠানের ব্যয় ১৪ লাখ টাকার মত। মাহাফিলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহবায়ক তানজির মাহমুদ, যুগ্ম সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন, দক্ষিণাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মূখ্য সংগঠক মেজবাহ কামাল মুন্না আমন্ত্রিত হয়েছেন।
কেন্দ্রিয় প্রতিনিধি ও দক্ষিণাঞ্চলীয় সংগঠক মেজবাহ কামাল মুন্না জানান, খুলনায় প্রথম কর্মসূচি হওয়ায় বেশ তোড়জোড় শুরু হয়েছে। নতুন মূখ এবং ক্লিন ইমেজের মানুষ দলের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। ঈদের পর খুলনাসহ অন্যান্য জেলায় সাংগঠনিক কমিটির রূপ দেওয়া হবে। এ সংগঠক সাতক্ষীরার একটি আসনের প্রার্থী। শ্যামনগর উপজেলা সদরের অধিবাসী।
খুলনা জেলা পর্যায়ের সংগঠক আহম্মদ হামিম রাহাত বলেছেন, রোববারই তারা প্রথম প্রকাশ্যে আসবেন। এ অনুষ্ঠানটি সফল করার চেষ্টা করছেন। তিনি ইফতার মাহফিল কমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার ছবি সম্বলিত ঈদের শুভেচ্ছার প্যানা নগরীর শিববাড়ি মোড়ে শোভা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, নতুনদের বড় একটি অংশ এ দলে আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে। ভিপি নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের স্থানীয় পর্যায়ের ৫০ জন কর্মী নতুন দলে যোগদান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নতুন মূখ নয়া দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যারা ইতিমধ্যে যারা সদস্য সংগ্রহ করছেন তারাই নেতৃত্বে আসবেন। রোববার খুলনার প্রকাশ্যের অনুষ্ঠানে আহম্মদ হামিম রাহাত, মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ, খুবির আল শাহারিয়ার, রমজান শেখ, সাইফ নেওয়াজ, খুবির প্রাক্তন ছাত্র মুশফিক সামস্ মেনান, তরুণ সাংবাদিক মোঃ সাইফুল ইসলাম, মিরাজুল ইসলাম ইমন, মোঃ হাসিবুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী, মোঃ মিরাজ হোসেন দলীয় পরিচয়ে নিজেদেরকে উপস্থাপন করবেন।
ইতিমধ্যেই দলের সাথে সম্পৃক্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন, সোনাডাঙ্গার ব্যবসায়ী আহমেদ ফরিদ পাঠান, ডুমুরিয়ার তানজিল মাহমুদ, গাজী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাঃ শরীফ আশরাফুল হাবিব সাজিদ, দৌলতপুরের ইঞ্জি: আশিকুর রহমান রাতুল, খানজাহান আলী থানার জাহিদুর রহমান প্রিন্স ও ডাঃ এস এম খালেদুজ্জামান প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/এমএম