গত বছর জুলাই আন্দোলন চলাকালীন ৪ আগস্ট খুলনা নগরীর গগনবাবু রোডে ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে আওয়ামী লীগ, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাসহ মোট ১২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া এক ভিকটিম বাদী হয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, “জুলাই আন্দোলন” চলাকালে তালুকদার আব্দুল খালেকের বাসার সামনে ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে অবরুদ্ধ করে মারধর ও গুলিবর্ষণ করা হয়। এছাড়াও নারীদের গুমের উদ্দেশ্যে আটকে রাখার গুরুতর অভিযোগও তোলা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন: সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার, সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, এমপি বদিউজ্জামান সোহাগ (বাগেরহাট-৪) এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময়, শেখ সোহেল, ননীগোপাল মণ্ডল, এসএম কামাল হোসেন, সালাম মুর্শিদী, নারায়ণ চন্দ্র, সাবেক খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত কমিশনার রাকিবুল ইসলাম, সোনালী সেন, সাবেক ওসি মোঃ কামাল (খুলনা সদর), সাবেক ওসি তদন্ত নিমাই কান্তি, এসআই রকিব, সর্দার নাসির (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, (বাগেরহাট সদর), যুবলীগ নেতা শফিকুর রহমান পলাশ, সুলতান আহমেদ খান, আব্দুর রউফ (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, রামপাল)
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেন, জনগণের উপর এ ধরনের বর্বর হামলা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। মামলাটি বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩-এর ধারা অনুযায়ী বিচারাধীন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ