গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে খুলনায় জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করে দলটির খুলনা মহানগর শাখার নেতারা। পরে এক বিশাল মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রয়্যাল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের শেষ চিহ্ন। যেখানে গর্তের মধ্যে লুকিয়ে থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয় যোদ্ধাদের উপরে নিকৃষ্ট ও ন্যাক্কারজনক হামলা পরিচালনা করেছে। অতিসত্বর ফ্যাসিবাদের বাকি এ দোসরদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে এবং বাকি দোসরদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনকে আমরা বাধ্য করবো। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বারবার বলে এসেছে বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত না করলে ফ্যাসিবাদকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। সে কথাই প্রমাণিত হয়েছে। গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রার বহরে হামলা প্রমাণ করে বাংলাদেশ এখনো নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি, বাংলাদেশ এখনো ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের শেষ চিহ্ন অবশিষ্ট থাকলে এদেশের মানুষকে তারা শান্তিতে বসবাস করতে দেবে না। যে ছাত্র-জনতা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তাদের দল এনসিপির পদযাত্রা কর্মসূচি প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেই হয়েছে। তাহলে প্রশাসন কেন ব্যর্থ হলো এমন প্রশ্ন রেখে তিনি অন্তবর্তী সরকারকে এর জবাব দিতে বলেন।
মহানগরী আমীর আরও বলেন, শেখ হাসিনার পেটোয়া বাহিনী গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় হামলা করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেছেন, এই ন্যাক্কারজনক হামলা গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন। এ দেশে ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলা এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপর্যুপরি ব্যর্থতার কারণেই গোপালগঞ্জ রক্তাক্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করায় পতিতরা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মাস্টার শফিকুল আলম, মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম, প্রিন্সিপাল জাহাঙ্গীর আলম, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও অধ্যক্ষ গাউসুল আযম হাদী, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, মাওলানা শাহরুল ইসলাম, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম লিটন, আ স ম মামুন শাহীন, ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা আলমগীর, মীম মিরাজ হোসাইন, মোকাররম বিল্লাহ আনসারী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন ও সেক্রেটারি রাকিব হাসান, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহিদুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতপুর থানা আমীর মুশাররফ আনসারী, আড়ংঘাটা থানা আমীর মনোয়ার আনসারী, হরিণটানা থানা আমীর আব্দুল গফুর, লবণচরা থানা আমীর মোজাফফর হোসেন, ব্যবসায়ী থানা সেক্রেটারি আজিজুর রহমান স্বপন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সাধারণ সম্পাদক ডা. সাঈদুজ্জামান, আব্দুস সালাম, জাহিদুর রহমান নাঈম, আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএম