খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

খুলনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব, ৮-১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রেমাল খুলনার উপকূলে আঘাত হেনেছে। রোববার (২৬ মে) রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে খুলনার উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। ঝড়ো বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়াও।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল রাত সাড়ে ১০টায় খুলনাসহ উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে। এখনও তাণ্ডব চলছে। কয়রা উপকূলে ১০০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ রয়েছে। আর খুলনার অন্যান্য স্থানে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। আরও ২-৩ ঘণ্টা এভাবে চলবে।

তিনি বলেন, জোয়ারের সময়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

বটিয়াঘাটার জলমা এলাকার বাসিন্দা রাশিদুল ইসলম বলেন, রাত থেকে বাতাসের গতি বেড়েছে। বাতাস আর বৃষ্টির কারণে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।

পাইকগাছা উপজেলার সাফায়েত হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। রেমালের প্রভাবে নদীতে রাতে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে সাইক্লোন শেল্টারে নদীর তীরবর্তী ও বিভিন্ন গ্রামগুলোর সাধারণ মানুষ আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিচ্ছেন।

বটিয়াঘাটার জলমা সিএসএস এর স্থাপনার দায়িত্বরত সাব এ্যাসিস্টেন ইঞ্জিনিয়ার অনূপ কুমার পাল বলেন, এখানে ২০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। জলমা এলাকার শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। রাত যত গভীর হচ্ছে মানুষ ততোই আসছে। আগতদের জন্য শুকনো খাবার ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরাও খোঁজ নিচ্ছেন।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য খুলনার ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!