মশাবাহিত লাম্পি স্কিনি রোগ নির্মূল হচ্ছেনা দক্ষিন জনপদের সবচেয়ে বড় জেলা খুলনায়। ২০২০ সাল থেকে জেলার গোয়ালে গোয়ালে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতি বছর এর বিস্তার লাভ করছে। স্কিনি রোগ প্রতিরোধ বা নির্মূলের ভ্যাকসিন প্রাণি সম্পদ অফিসে মজুদ নেই। বলদ ও দুধের গাভীর স্বাস্থ্য রক্ষার্থে কৃষক সাউথ আফ্রিকার তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে, যার ২০ ডোজের মূল্য পাঁচ হাজার টাকা।
বোরোর ভরা মৌসুমে গ্রামের পাড়া মহল্লয় মশার প্রজন্ন বেড়েছে। সন্ধার পর পরই মশার উপদ্রব বাড়ে। মশাবাহিত ভাইরাজ লাম্পি স্কিনি রোগ পাইকগাছা, ডুমরিয়া ও বটিয়াঘাটার গোয়ালে গোয়ালে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী রোগ অনুসন্ধানে ৬৭ শতাংশ গরুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে । শংকর ও দেশীয় জাতের গরু এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়বে আগামী ঈদুল আজহার পশুর খামারে।
জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডা: মোঃ শরিফুল ইসলাম তথ্য দিয়েছেন গেল বছর এ রোগ প্রতিরোধে এল এস ডি ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসগুলোতে ১৬ মাত্রার ভ্যাকসিন ৪ শ’ টাকা দামে কিনতে হয়। এ বছরের শুরু থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ প্রতিষেধক মজুদ নেই।
হেরাজ মার্কেটস্থ খুলনা ভেটেরিনারী ফার্মেসীর ব্যবস্থাপক জানান, দেশীয় কম্পানীগুলো এ প্রতিষেধক সরবরাহ করতে পারছে না। সাউথ আফ্রিকার তৈরি ভ্যাকসিন কৃষক কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জেলায় বছরে ১ লাখ ১২ হাজার মে:ট: মাংসের চাহিদার বিপরীতে ১ লাখ ৫১ হাজার মে:ট: এবং ২৩ হাজার মে:ট: দুধের চাহিদার বিপরীতে ২৯ হাজার মে:ট: উৎপাদন হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এমএম