আওয়ামী লীগের ‘ক্ষমতা নবায়নের’ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে খুলনাবাসী শাসক দলকে লালকার্ড দেখিয়েছে বলে দাবি করেন খুলনা বিএনপি নেতারা। ‘ডামি’ নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকায় খুলনাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা বলেছেন, জনগনকে সাথে নিয়ে চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে। নেতৃবৃন্দ অফিস-আদালত, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে বিএনপি ঘোষিত ৪৮ ঘন্টার হরতাল সর্বাত্মকভাবে সফল করায় নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
রবিবার (৭ জানয়ারী) বিএনপি মিডিয়া সেল প্রদত্ত বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, বিএনপি সহ ৬২টি রাজনৈতিক সংগঠনকে নির্বাচন থেকে দূরে রেখে সরকার একটি একদলীয় নির্বাচন আয়োজন করেছিল। আওয়ামী লীগ দেশে ও বর্হিবিশ্বে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখানোর জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল। নিজ দলীয় নেতা ও গৃহপালিত কতিপয় দলকে নির্বাচনে নামিয়ে বিপুল অর্থ ব্যয়ের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল। বিপুল অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাধ্যতামূলক ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার হুমকি দিয়েছিল। এছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধিভাতা, কর্মসৃজন প্রকল্প, টিসিবি কার্ডধারী সহ বিভিন্ন ভাতাভোগীদেরকে ভোট কেন্দ্রে না গেলে সুবিধা বন্ধ করে দেয়ার ভয় দেখিয়েছিল। ভোটের আগে তাদের এই হুমকির মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল আশংকাজনক হারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, খুলনার প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদেরকে নেয়ার জন্য নৌকার পোস্টার সম্বলিত ইজিবাইক ও রিক্সা চলাচল করতে দেখা গেলেও দিনের বেশির ভাগ সময় অধিকাংশ কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। বহু স্থানে ভোট দানের পর ভোটারদের মধ্যে বিরিয়ানির প্যাকেট বিতরণ করতে দেখা গেছে। এরপরও খুলনার মানুষ এই প্রহসনের নির্বাচনকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান ও বর্জন করেছে।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী প্রমূখ।
- – খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/ এএজে