জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) একাধিক পরিবর্তনের জন্য প্রতিনিয়ত আবেদনপত্র জমা পড়ছে নির্বাচন অফিসের বিভিন্ন ইউনিটে। চাকুরি প্রার্থী, বিদেশ গমণে ইচ্ছুক ও বিদেশ থেকে এসেছেন, চাকুরি থেকে অবসরে গিয়ে পেনশন নিচ্ছেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আগ্রহীসহ বিভিন্ন কারণে জাতীয় পরিচয়পত্রে গ্রাহকরা নিজের নাম, বাবা-মায়ের নাম, বয়স পরিবর্তন, জন্মতারিখ পরিবর্তন ইত্যাদির কারণে আবেদন করছেন।
শুধুমাত্র খুলনা জেলাতেই এই ধরণের আবেদনপত্র (যাকে আমলনামা পরিবর্তন হিসেবে বলা হয়) জমা পড়ে রয়েছে ৮৪৬টি। আবেদনপত্রে একাধিক মিথ্যা তথ্য থাকায় সহজে এগুলোর সমাধান করা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কখনও গ্রাহকদের জিজ্ঞাসাবাদ বা শুনানী করা হচ্ছে। এতে করেই সমাধান না হলে আবেদনপত্র পাঠানো হচ্ছে ঢাকাতে। এদিকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কারণে গ্রাহকদের বিরুদ্ধে কমিশনের নির্দেশে মামলার নির্দেশনা থাকলেও খুলনাতে এখনও কোন মামলা করা হয়নি।
সূত্র জানায়, খুলনা বিভাগের ৬২টি ইউনিট থেকে এই ধরণের প্রায় ৩ হাজার ৮৩৮জন গ্রাহক তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের আমলনামা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন। যা বর্তমানে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে। চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা ছিল ২হাজার ৮৯টি। যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৩৮টিতে। অনলাইন এবং স্বশরীরে বিভিন্ন ইউনিটে আমলনামা পরিবর্তনের গ্রাহকরা আবেদন করেছেন।
এসব আবেদনপত্রের মধ্যে সবথেকে বেশি আবেদন খুলনা জেলার। যার সংখ্যা ৮৪৬টি। বাগেরহাট জেলার আবেদন ৬৪০টি, যশোর জেলার ৫০০টি, কুষ্টিয়া জেলার ৪৯৪টি, মাগুরা জেলার ৪৭০টি, ঝিনাইদহ জেলার ২৩২টি, নড়াইল জেলার ২২৪টি, সাতক্ষীরা জেলার ১৭৩টি, মেহেরপুর জেলার ১৩০টি এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার ১২৯টি আবেদন।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো: ইউনুচ আলী বলেন, আবেদনপত্র সবথেকে বেশি খুলনার গ্রাহকদের। অনেক আবেদনপত্রে তথ্য ভুল দেওয়ার কারণে আমরা কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়ে যাই। কিছু ফাইল ঢাকাতেও পাঠানো হয়। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা আছে মিথ্যা বা ভুল তথ্য দিলে গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ আছে। তবে কোন মামলা এখনও করা হয়নি।
খুলনা গেজেট/নাফি