যশোর ও খুলনার রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকলগুলো ইজারা নিতে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিকল্প হিসেবে বিজেএমসি আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহবান করেছে, ২ নভেম্বর। লোকসান দেখিয়ে ২০২০ সালের ৩ জুলাই পাটকলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
উৎপাদন বন্ধের পর মিলগুলো ইজারা দিতে কর্তৃপক্ষ একাধিকবার টেন্ডার আহবান করে। দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান মিমো জুট, খালিশপুরের ক্রিসেন্ট মিল ইজারা নিতে জামানতের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে চুক্তির শর্তভঙ্গ হয়। ক্রিসেন্টের প্রতিমাসের ভাড়া ৮০ লাখ টাকা। প্রতিমাসে ৪২ লাখ টাকা ভাড়ার শর্তে ফরচুন সুজ প্লাটিনাম জুবলী জুট মিলস ইজারা পেয়েছে। ইজারার শর্ত দু’বছরের ভাড়া অগ্রিম দিতে হবে। জানুয়ারির শেষ দিকে এ মিলের পুনঃ উৎপাদন শুরু হবে।
বিজেএমসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডঃ মোঃ গোলাম কবির এ অঞ্চলের সাত পাটকল ইজারা দিতে আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করেছেন। টেন্ডার দাখিলের শেষ সময় ৭ ডিসেম্বর। টেন্ডারকৃত পাটকলগুলো হচ্ছে খালিশপুরের ক্রিসেন্ট, ইস্টার্ন, স্টার, দৌলতপুর, খালিশপুর, রাজঘাটের কাপেটিং এবং যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ।
বিজেএমসি’র, খুলনা জোনের আঞ্চলিক প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ গোলাম রব্বানী জানিয়েছেন, ৩০ বছর মেয়াদে ইজারা দেয়া হবে। নতুন শর্তারোপ করা হয়েছে দু’বছরের পরিবর্তে তিন বছরের অগ্রিম। আগামী ৮ ডিসেম্বর টেন্ডার খোলা হবে।
যদিও জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে রাষ্ট্রায়াত্ব মালিকানাধীন পাটকলগুলোর পরিত্যক্ত জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার দাবি তোলেন খুলনা জেলা প্রশাসক।
১৯৫৪ সালে প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট এবং ১৯৫৫ সালে দৌলতপুর জুট মিলের উৎপাদন শুরু হয়। শুরুতেই পাকিস্তানের শিল্পপতিরা ছিলেন এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক। ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ সরকার পাটকলগুলো জাতীয়করণ করে।