বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখাসহ দক্ষিণাঞ্চলের তফসিলি ব্যাংকগুলোর সাইবার ত্রুটিমুক্ত করা হয়েছে। একইসাথে তফসিল ব্যাংকের সার্ভারগুলো লক করা হয়েছে। প্রধান কার্যালয় ছাড়া দক্ষিণাঞ্চল থেকে অত্যন্ত সতর্কভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কম্পিউটার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিম-সিআইআরটি। সিআইআরটি’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক, করোনা বিডি, ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক ও বিকাশসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাইবার হামলার মুখে পড়ার তথ্য এসেছে। এর পেছনে ক্যাসাব্লাংকা নামের একটি হ্যাক গ্রুপকে চিহ্নিত করেছে। সিআইআরটি জানিয়েছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশের শীর্ষস্থানীয় এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবারা হামলার ঘটনা ঘটে। তবে ভবিষ্যতে এটি মারাত্মক হুমকি হতে পারে যা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি বা বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গত আগস্টের শেষদিকে রূপালী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এবি ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংক এর ওপর সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত নভেম্বরেও অনুরূপ আশঙ্কা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনার উপ মহা-ব্যবস্থাপক জানান, স্থানীয় পর্যায়ের সার্ভারগুলো ত্রুটিপূর্ণ করা হয়েছে। অনেক স্থানে সার্ভার লক করা আছে। তাছাড়া প্রধান কার্যালয় কর্তৃক বহির্বিশ্বের অর্থ লেনদেন হয়। ব্যাংকের সকল পর্যায়ের অফিসারদের পাসওয়ার্ডও লক করা হয়েছে। এখানকার সার্ভারগুলো শক্তিশালী পজিশনে রয়েছে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও মাগুরা অঞ্চলের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে সাইবার হামলার সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ সাইবার হামলা চালাতে পারে বলে গত নভেম্বর মাসে রূপালী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথ বন্ধ রাখা হয়। তবে কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি