যদিও মুশফিকের খুলনা সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা করেছিল ঠিকঠাক। কিন্তু সাকিবের প্রথম আঘাতের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে খুলনার ব্যাটিং লাইন-আপ। যদিও শেষ দিকে ইয়াসির রাব্বি আর খুলনা কাপ্তান মুশফিক মিলে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ হাসি হাসল সাকিবের বরিশাল।
এ নিয়ে চলতি বিপিএলে দুইবারের দেখায় দুটি ম্যাচই জিতে নিয়েছে সাকিবরা। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে প্রত্যাবর্তনের দিনে বল হাতেও ছিলেন সমান উজ্জল। ৪১ রানের পাশাপাশি তুলে নিয়েছেন মূল্যবান দুটি উইকেট। আর তাই সেরার স্বীকৃতিও মিলেছে।
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। তবে নির্ধারিত ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি তারা। তারকায় ঠাসা দলটি ৭ বল হাতে রেখেই মাত্র ১৪৫ রানে গুটিয়ে গেছে। অর্থাৎ মুশফিকের খুলনাকে জিততে হলে করতে হবে ১৪৬ রান।
চট্টগ্রাম পর্বে রানে ফিরেছে বিপিএল। বিশেষ করে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো রান হচ্ছে। তবে সাকিবের বরিশাল যেন এখনো সেই ছন্দে ফিরছে না। দুই ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ডোয়াইন ব্রাভো এবং ক্রিস গেইল ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন। তবে খালেদের বলে ৫ বলে মাত্র ৯ রান করেই সাজঘরে ফিরে গেছে ব্রাভো।
অন্যদিকে, নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইলও। ৯ বলে মাত্র ৪ রান করেছেন। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, ব্যাটে ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন দলীয় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এদিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহও তার। কামরুল রাব্বির বলে আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ৪১ রান করেছেন। এছাড়া নাজমুল হাসান শান্ত করেছেন ৪০ বলে ৪৫ রান।
খুলনা টাইগার্স একাদশ
আন্দ্রে ফ্লেচার, সৌম্য সরকার, রনি তালুকদার, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), ইয়াসির রাব্বী, থিসারা পেরেরা, মেহেদী হাসান, ফরহাদ রেজা, কামরুল ইসলাম, সেকুগে প্রসন্ন এবং শরিফুল্লাহ।
ফরচুন বরিশাল একাদশ
সৈকত আলী, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, ক্রিস গেইল, নুরুল হাসান সোহান, ডোয়াইন ব্রাভো, জিয়াউর রহমান, জ্যাক লিন্টট, মুজিব উর রহমান, তাইজুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/এএ