বিফলে গেল ইয়াসির আলীর ছোট্ট ক্যামিও। মোসাদ্দেকের করা শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। কিন্তু ইয়াসির আলী নিতে পেরেছেন মাত্র ১২। এতে করে ৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা। শেষ বলে ম্যাচ টাইয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন ৬ রান। কিন্তু তারা নিতে পারে মাত্র একটিই।
রিজওয়ান ও লিটনের অর্ধশত রানে ভর করে কুমিল্লার দেয়া ১৬৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে খুলনা থামে ১৬১ রানে। অ্যান্ডি বিলবার্নির ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩৮ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন শাইহোপ ৩৩ আর ইয়াসির আলী করেন ৩০ রান।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট হেসেছে। ঠিক ঝড় তুলতে না পারলেও তারা ফিফটির ইনিংস খেলেছেন। ওই ইনিংস ব্যর্থ করে দেয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক ও জাতীয় দলের ফিনিশারখ্যাত ইয়াসির রাব্বি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪ রানে হেরেছে তার দল।
টস জিতে বোলিং করতে নামে খুলনা টাইগার্স। লিটন ও রিজওয়ান ৬৫ রানের জুটি দেন। এর মধ্যে লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। তিনি ৪২ বলে নয় চারে ওই ইনিংস খেলেন। অন্য প্রান্তে ‘অ্যাংকরিং’ করে যান রিজওয়ান। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে হার না মানা ৫২ রানের ইনিংস। চারটি চার ও একটি ছক্কা মারেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
তার সঙ্গে জুটি গড়া জনসন চার্লস ২২ বলে ৩৯ রান করেন। তিনি ফিরে যান ১২৫ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই টপ অর্ডার ব্যাটার ওই রান করেন পাঁচটি ছক্কার শটে। এছাড়া খুশদীল শাহ ১১ বলে ১৩ রান করলে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তোলে।
জবাব দিতে নেমে খুলনার ওপেনার তামিম ইকবাল ১১ রান করে ফিরে যান। পরের তিন ব্যাটার সেট হলেও দলের চাহিদা মিটিয়ে রান করতে পারেননি। আন্দ্রে বালব্রেনি ৩১ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৩৮ রান করেন। তিনে নামা শেই হোপ ১৯তম ওভারে ৩২ বলে ৩৩ রান করে ফিরে যান। ওই ঘাটতি পূরণে ১৩ বলে ২৬ রানের এক ইনিংস খেলে ফিরে যান মাহমুদুল জয়।
শেষটায় ইয়াসির রাব্বি দলকে আশা দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৯ বলে তিনি ৩০ রান করলেও দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি। তিনি তিনটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। কুমিল্লার হয়ে নাসিম শাহ দুই উইকেট নিয়েছেন। তানভির ইসলাম নেন এক উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান ১ উইকেট নিলেও কুমিল্লার জয়ের অন্যতম নায়ক তিনি। কারণ ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়েছেন এই বাঁ-হাতি পেসার।
খুলনা গেজেট/ এসজেড