কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সাম্প্রতিক সহিংস পরিস্থিতি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এ ছাড়া এই দেশে দ্রুতই শান্তি ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল।
জসওয়াল বলেন, এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৭০০–এর বেশি ভারতীয় নিরাপদে দেশে ফিরেছেন। তিনি জানান, নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য ভারতীয় হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশন ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন চালু রেখেছে। তবে সেখানে যা চলছে, তা সম্পূর্ণভাবে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতের আশা, খুব শিগগির বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। এ সময় ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিন জসওয়ালের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাংবাদিকেরা। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কিনা? আন্দোলনের একটা পর্যায়ে ভারত বিরোধিতা এবং ভারতবিরোধী স্লোগান শোনা গিয়েছে সেই বিষয়ে ভারত উদ্বিগ্ন কিনা এবং হিংসাত্মক আন্দোলনের পিছনে কারা মদদ দিয়েছে সেই বিষয়ে ভারতের কাছে কোন রিপোর্ট আছে কিনা। যদিও সব প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান রণধীর জসওয়াল। তিনি আবারও বলেন বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুবই দৃঢ়, উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ।
এদিকে একুশে জুলাই কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে এক দলীয় সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্য বলেন, বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত ঝরছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। রনধীর জসওয়াল এদিন এ বিষয়ে স্বীকার করে জানান কূটনৈতিক স্তরে সেই প্রতিবাদপত্র ভারতের কাছে পৌঁছেছে।
তিনি জানান, ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিলের (শিডিউল) প্রথম তালিকার ১০ নম্বর বিষয়টিতে বলা আছে, পররাষ্ট্র সংক্রান্ত সবকিছুই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত। এ ক্ষেত্রটি রাজ্য তালিকা কিংবা যুগ্ম তালিকায় নেই। রয়েছে কেন্দ্রীয় তালিকায়। কাজেই পররাষ্ট্রসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কোনো রাজ্য সরকারেরই বিন্দুমাত্র এখতিয়ার নেই। তিনি বলেন, যা রাজ্যের বিষয় নয়, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।
খুলনা গেজেট/কেডি