খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮

খুবি শিক্ষার্থীকে হত্যা চেষ্টা, মামলা তুলে নিতে হুমকি

খুবি প্রতিনিধি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জিহাদ হাওলাদার (২৩), তার দুই ভাই ও তার চাচাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত ২৪ জুলাই (শনিবার) বিকেলে মাদারীপুরে এই ঘটনা ঘটে। ওইদিন জিহাদসহ তার পরিবারের বাকি সদস্যদের গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। পরে গত শুক্রবার তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় গেছেন বলে জানা গেছে।

জিহাদের পরিবার সূত্র জানায়, ঘটনার দিন দুবৃর্ত্তদের আট জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, এখন আসামি পক্ষ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

ভুক্তভোগী জিহাদ জানান, “গত ২৪ জুলাই বিকাল ৪টার দিকে মাদারীপুর সদরের ভদ্রখোলা গ্রামের হাওলাদার বংশের (নয়াবাড়ি) দেলোয়ার হাওলাদারের মেয়ের জামাতা শহিদুল হাওলাদার (৩০) জিহাদের চাচা আতিয়ার হাওলাদারকে উস্কানিমূলক ও অপমানজনক কথা বলে। এ ঘটনার কারণ জানতে চাওয়ায় শহিদুল ও তার শ্যালক সিফাত হাওলাদার (১৮) আমার দাদি ও মা কিরন বেগমকে (৪৫) ঘটনাস্থলেই মারধর করেন।

খবর পেয়ে আমি ও আমার চাচা আতিয়ার হাওলাদার ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই চুন্নু সিং দেশীয় অস্ত্র ও তার দলবল নিয়ে আমাদের বাসায় ঢোকে। এরপর আমাকে এবং আমার ছোট ভাই রিফাত হাওলাদার (১৮), বড় ভাই রিয়াদ হাওলাদার (২৪) ও চাচা আতিয়ার হাওলাদারকে দেশীয় অস্ত্র রামদা ও মাছ ধরার কোচ দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এছাড়া চাচা আতিয়ার হাওলাদারের নতুন ঘর ভাংচুর করে এবং লুটপাট করে ওই দুর্বৃত্ততরা।”

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরও বলেন, চুন্নু সিং ও তার দলবলের আক্রমণের কারণে আমরা তিন ভাই, আমার চাচা এবং আমার মা মারাত্মকভাবে জখম হন। এছাড়া আমার মাথায় রামদার কোপ লাগায় আটটা সেলাই দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমারা থানায় মামলা করলে চুন্নু সিং আমাদেরকে এখন নানা ভাবে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।”

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম মিঞা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে ইতোমধ্যে মামলা করেছে। মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়ার মত যদি কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ভুক্তভোগীদের থানায় আসতে হবে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়া তো আমরা কিছু করতে পারবো না। থানায় এসে তারা সাধারণ ডায়েরি করলে আমি তদন্তকারী অফিসারের সাথে কথা বলে দ্রুতই এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

মামলার আসামি চুন্নু সিংয়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!