প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন তরুপল্লব এর উদ্যোগে শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১২টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুর্লভ ও বিপন্ন প্রজাতির ৩০ প্রকারের একশত বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবনের সামনে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি একটি নাগেশ্বর গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
চারা রোপণের প্রাক্কালে এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে আয়োজক সংগঠনের এ মহতি উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশ ঠিক রেখে আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে বাঁচাতে হলে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ ও তার সংরক্ষণের বিকল্প নেই। বৃক্ষ মানুষের বন্ধু এবং বেঁচে থাকার নানা অবলম্বন। তিনি দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দেশি নানা প্রজাতির বৃক্ষরোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তরুপল্লব খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিপন্নপ্রায় ও দুর্লভ ৩০প্রজাতির বৃক্ষের চারা রোপণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সমৃদ্ধ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করে বলেন, ‘এর ফলে এখানেই পাহাড়ি প্রজাতির বৃক্ষের সাথে শিক্ষার্থীরা পরিচিত হতে পারবে।’
তিনি সংগঠনের এ ধরনের মহতি প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহবান জানান এবং এই সংগঠনকে স্টান্ডার্ডচাটার্ড ব্যাংক সহযোগিতা করায় তিনি ওই ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেও ধনবাদ জানান।
এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন।
তরুপল্লবের পক্ষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণের এই সুযোগ করে দেওয়ায় উপাচার্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা নৈস্বর্গপ্রেমিক,উদ্ভিদপ্রেমিক দ্বিজেন শর্মার নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তাঁর মহতি উদ্দেশ্য এবং সংগঠনের এ ধরনের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন।
এসময় সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্য, স্টান্ডার্ডচাটার্ড ব্যাংকের প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন এবং ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্লভ ও বিপন্ন প্রজাতির রোপিত ৩০ প্রজাতির চারার মধ্যে রয়েছে নাগেশ্বর, মহুয়া, কুরচি, তূণ, হলদু, পুত্রঞ্জীব, নেমাবেঙ্গালেনসিস, কাউয়াটুটি, রসকাউ, ধারমারা, কুসুম, কানাউডিঙ্গা, চাপালিশ, ভূঁইকদম, বুদ্ধনারকেল, কাউ, মাইলাম, পিতরাজ, রক্তন, সিভিট, ঢাকিজাম, পাদাউক, ট্যাবেবুইয়া, লালসোনাইল, কুরচি, উদাল, কুম্ভি, তেলশুর, গর্জন এবং দেবদারু।
খুলনা গেজেট/ এস আই