খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বিজয় তোরণের নাম পরিবর্তন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ নামানুসারে’শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ রাখলেন শিক্ষার্থীরা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীরা শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রধান ফটকের নাম’শহীদ মির মুগ্ধ তোরণ’ ঘোষণা দেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী আইমান আহাদ বলেন, “শহীদ মীর মুগ্ধ ভাইয়ের স্মরণে খুবির প্রধান ফটকের নাম ‘শহিদ মীর মুগ্ধ’ ঘোষণা করছি। মুগ্ধ ভাই শহিদ হয়েও আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে চিরকাল। সারা দেশের শহীদদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। আর যেন আমাদের শহীদদের নামে কোনো নাম রাখতে হয়না।”
২০২৪ সালের ১৮ জুলাই সন্ধ্যার সময় ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষ চলাকালীন খাবার পানি এবং বিস্কুট বিতরণ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।তার মৃত্যুর পরপরই একটি ছোট ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় ‘‘ভাই পানি লাগবে কারও,পানি” কথাটি তিনি বারবার বলছিলেন। আন্দোলনের সময় এভাবে মুগ্ধের শহীদ হওয়া বাংলাদেশের মানুষের মনে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে। মুগ্ধর মৃত্যু কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।
শহীদ মীর মুগ্ধ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিন থেকে ২০২৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এ প্রফেশনাল এমবিএ করছিলেন। তিনি একজন মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সারও ছিলেন।
শহিদ মির মুগ্ধর বন্ধু গণিত ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী কাজী অর্ণব বলেন, “আমার বন্ধু মুগ্ধ ছিলো একজন ম্যাজিক্যাল বয়। সে যেখানেই যেত ম্যাজিক ছড়াতো। জীবিত অবস্থায় সে আমাদের জন্য অনেক কিছু দিয়েছে। এখন সে পুরো জাতিকে দিচ্ছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যতদিন রবে, ততদিন রয়ে যাবে আমার বন্ধুর স্মৃতি।”
উল্লেখ্য, এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. হায়দার আলী বিশ্বাস, প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান, প্রফেসর ড. মো. নুর আলম, প্রোফেসর শরীফ মোহাম্মদ খান, সহযোগী অধ্যাপক আবুল ফজল ও ইমতিয়াজ মাশরুর।
খুলনা গেজেট/এএজে