বিএনপির দশম দফা অবরোধের প্রথম দিনে বুধবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস ভাংচুর হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে নগরীর শেরে বাংলা সড়কের আমতলা মোড়ে বাসটিতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসের পেছনের দুটি গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এতে আহত হয় চালকের সহকারী জুয়েলসহ দুই জন।
এর আগে ওই এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে খুলনা বিএনপি। আমতলা মোড় অতিক্রমের সময় মিছিলের শেষ অংশে হামলা চালায় ২৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মীরা। পুলিশও মিছিলে লাঠিচার্জ করে। এতে বিএনপির ৫ নেতাকর্মী হয়। ওই সময় ককটেল বিস্ফোরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস, একটি প্রাইভেটকার ও ইজিবাইক ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিএনপি ও যুবলীগ পরষ্পরকে দোষারোপ করেছে। দুই পক্ষই হামলার নিন্দা ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম হোসেন দাবি করেন, বুধবার দুপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালিয়েছে যুবলীগ কর্মীরা। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতংক ছড়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসসহ ইজিবাইক ভাংচুর করে। আশপাশের সিসি ক্যামেরা যাচাই করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি জানান তিনি।
এদিকে খুলনা বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, বিএনপির মিছিলে হামলা চালিয়ে ককটেল নিক্ষেপ করে উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ষড়যন্ত্র চলছে। হামলা ও ভাংচুরের জন্য যুবলীগকে দায়ী করে তাদের শাস্তি দাবি করেন বিএনপি নেতারা।
অন্যদিকে খুলনা মহানগর যুবলীগের পৃথক আরেকটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা ২৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ কার্যালয়ে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতংক তৈরি করে। তারা খুবির বাসসহ প্রাইভেটকার ও ইজিবাইক ভাংচুর করে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানানো হয়।