বাংলাদেশ গণিত সমিতি-এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের আয়োজনে ১২তম জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড-২০২১ উদ্বোধন করা হয়। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় কর্মসূচির শুরুতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে এবং শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করে খুলনা অঞ্চলের এ অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের এখন আর পিছিয়ে পড়ার সুযোগ নেই। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এগিয়ে যেতে হবে। আর যদি গণিত না এগোয়, তাহলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এগোবে না। কেননা গণিতকে কেন্দ্র করেই বিজ্ঞানের এতো বিস্তৃতি। মনে রাখতে হবে গণিত এগিয়ে গেলে, বিজ্ঞানও এগিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব এখন ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমাদেরও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মেলাতে হলে গণিতের প্রতি আগ্রহী হতে হবে। মন থেকে গণিত ভীতি দূর করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণিত চর্চা বাড়াতে হবে।
উপাচার্য বলেন, গণিত অলিম্পিয়াড কোনো কম্পিটিশন নয়, এটি একটি উৎসব। করোনা মহামারী কাটিয়ে এবছর এই অলিম্পিয়াড হচ্ছে, আগামীতে অংশগ্রহণকারী আরও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপাচার্য এই অলিম্পিয়াড আয়োজন করায় গণিত ডিসিপ্লিনকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
গণিত ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মুন্নুজাহান আরার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন এবং বাংলাদেশ গণিত সমিতির পক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কল্যাণ কুমার দে। এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোশতাক আহমদ এবং সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই অলিম্পিয়াডে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও বিএল কলেজ এর ৭২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। এই প্রতিযোগিতা থেকে ১০ জনকে দ্বিতীয় পর্বের জন্য নির্বাচন করা হবে।