খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

খুবিতে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতীয় দিবস পালন

গেজেট ডেস্ক

যথাযথ মর্যাদায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতীয় দিবস পালিত হয়ে‌ছে। দিবসের শুরুতে সকাল ৯টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কালজয়ী মুজিব বেদীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান ও বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপরই ডিভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ, চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ১০টায় খুবি শিক্ষক সমিতির আয়োজনে ওয়েবিনারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ ওয়ালিউল হাসানাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। তিনি বলেন, বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্ন, আকাক্সক্ষা, স্বাধীনতা এই তিনটি বিষয় একসূত্রে গেঁথেছে এই মার্চ মাস। স্বাধীনতার স্বপ্নের ইতিহাস বহন করেছে ৭ই মার্চ। বাঙালির স্বপ্নকে দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে তার সকল প্রয়াস ও সার্থক করতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের শব্দ ও বাক্যের শক্তি এতোটাই তীব্র যা মুক্তিযুদ্ধ থেকে জনযুদ্ধে রূপান্তরিত করে। ৭ই মার্চের ভাষণে একদিকে সাবলিল, অনির্বাণ উদীপ্ত বারুদ ছিলো, আবার অন্যদিকে বন্দুকের নল, কামানের তাক ছিলো, আকাশে হেলিকপ্টারে চক্রও ছিলো। সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা করলে কী ভয়াবহ পরিণতি হতো তা বঙ্গবন্ধুর জানা ছিলো। তাঁর বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নেতা ও অভ্যুত্থানের অভিযোগ আনা হতো। তাই বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে যথার্থই মেধা, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, দূরদর্শীতা ও সুকৌশলের পরিচয় দিয়েছিলেন।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক কৃষ্ণ প্রসাদ সরকার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শান্তিলতা মল্লিক বক্তৃতা ক‌রেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান, সহযোগী অধ্যাপক ড. রুবেল আনসার। সভা সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তানজিল সওগাত।

এছাড়া সকাল ১০টায় এবং এর আগে ও পরে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হয়। দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কালজয়ী মুজিব চত্বরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!