খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বাণী অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় মন্দির প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাণী অর্চনা আয়োজক কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. সমীর কুমার সাধুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করেছেন এবং স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ গঠনের আদর্শ ও চেতনার মধ্যেও ছিলো অসাম্প্রদায়িকতা। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও ভাবনা লালন করেন এবং সে চেতনায় উদ্দীপ্ত সমাজ গঠনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বাণী অর্চনার মুখ্য উদ্দেশ্য জ্ঞানের সাধনা। মানুষ প্রকৃতভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারলে তার ভেতরের-বাইরের সকল কুসংস্কার দূর হয়, মানবিক চেতনার বিকাশ ঘটে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে অব্যাহত জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে দক্ষ ও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন জনসম্পদ তৈরিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি সুষ্ঠুভাবে এ আয়োজন সম্পন্ন করায় আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। আরও বক্তৃতা করেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ শরীফ হাসান লিমন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ ওয়ালিউল হাসানাত এবং এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান। সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ছোটন দেব নাথ। এর আগে খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজেশ কুমার রায়না সস্ত্রীক এ মন্দিরে অঞ্জলি প্রদান করেন।
বাণী অর্চনা উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে আরও ছিলো সকাল ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্দিরে প্রতিমা স্থাপন, সকাল ৯ টায় পূজা আরম্ভ, সকাল সাড়ে ১০ টায় অঞ্জলি প্রদান ও বেলা সাড়ে ১১ টায় প্রসাদ বিতরণ।
খুলনা গেজেট/এনএম