প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, স্কুলের বাচ্চাদের জন্য রান্না করা খাবার (খিচুড়ি) ব্যবস্থাপনা দেখতে বিদেশে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের প্রস্তাব নিয়ে হইচই করার মতো অবস্থা নেই। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
রান্না করা খাবার হিসেবে বাচ্চাদের খিচুড়ি দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব নিয়ে গণমাধ্যমে পরিবেশিত সংবাদের সমালোচনা করেন প্রতিমন্ত্রী।
জাকির হোসেন বলেন, ১৯৪১ সালে কেরালায় স্কুলে মিড-ডে মিল চালু করেছে। আমি সেখানে দেখে এসে পাইলটিং করেছি। আমি যদি উকিল হই আমি কি সিনিয়রের কাছে শিখবো না?’ মিড-ডে মিলের বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ডিপিপিতে সামান্য কিছু টাকা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা এই কর্ম পরিচালনা করবে, যেখানে দীর্ঘদিন থেকে এটা মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে, সেখানে কিছু শিক্ষা দেওয়ার জন্য। এটা কোনো খিচুড়ি পাক শিক্ষা নয়। এটা ম্যানেজমেন্টটা জানার জন্য, শেখার জন্য, কীভাবে করছে। এজন্য সামান্য কিছু টাকা ডিপিপিতে ধরা আছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেকোনো বিষয়েই অভিজ্ঞতা নিতে হয়। অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করলে তার ফলও ভালো পাওয়া যায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার দেওয়ার উদ্যোগটি ভালো করে করা হচ্ছে। মিড-ডে মিল আমরা ১৬টি উপজেলায় পাইলটিং (পরীক্ষামূলকভাবে চালু) করেছি প্রোগ্রামটা। আমরা বাচ্চাদের খিচুড়ি খাওয়াবো। তিনদিন বিস্কুট, তিনদিন রান্না করা খাবার খাওয়াবো। ডিম, কলা ইত্যাদি ইত্যাদি আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। যাতে আমরা বাচ্চাদের কিছুটা হলেও পুষ্টি দিতে পারি। সুন্দর স্বাস্থ্যবান শিশু না হলে পড়াশোনায়ও মনোযোগ দিতে পারে না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো ডিপিপিতে সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে প্রায় এক হাজার কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব করা হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বেশ সমালোচনা তৈরি হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম