এবার কোরবানির পশুর হাটে ভাইরাল হওয়া অনেক পশুর মধ্যে আলোচনায় রয়েছে ১৫ লাখ টাকার খাসি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই খাসি ও তার ক্রেতা ইফাত নামের এক তরুণকে নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা।
ইফাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে বলে গুঞ্জন ওঠে। তবে সরকারি এই কর্মকর্তা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে আলোচিত এই খাশি ইফাতের বাবা তাহলে কি ? তাদের টাকার উৎস্যই বা কি ? তবে এখন পর্যন্ত কার পূর্ণাঙ্গ পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি ?
মতিউর রহমান বলেন, ‘ছাগলকাণ্ডে ভাইরাল ওই ছেলেকে আমি চিনি না। সে আমার সন্তান নয়। আমার নাম জড়ানোয় আমি ও আমার পরিবার অনেক বিব্রত।’ তিনি আরো বলেন, ‘ওই ছেলে আমার আত্মীয় বা পরিচিতও নয়। আমার এক ছেলে; নাম তৌফিকুর রহমান। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অপ্রচারের প্রতিবাদ করব।’
গত সপ্তাহে আলোচিত ছাগল সাথে নিয়ে ইফাতকে উচ্ছ্বসিত ভঙ্গিতে এক ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘১১ই জুন এটি ধানমণ্ডি-৮-এ ডেলিভারি দেওয়া হবে। এ রকম একটি খাসি কেনা আমার স্বপ্ন ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ রকম খাসি আমরা সামনাসামনি দেখিনি। আমার জীবনে প্রথম দেখা এটা। এটা আমার হবে, জানা ছিল না। আল্লাহ নসিবে রাখছে, তাই হইছে। এর থেকে বেশি কিছু আর কী বলব।’
বায়না দিয়েও ১৫ লাখের সেই ছাগল নেননি আলোচিত ইফাত
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ থেকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া আলোচিত ছাগলটি নেননি ক্রেতা ইফাত। সাদিক অ্যাগ্রো কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, ইফাত এক লাখ টাকা বায়না (অগ্রিম) দিয়েও ছাগলটি এখন পর্যন্ত নেননি।
এবার কোরবানির পশুর হটে ভাইরাল হওয়া অনেক পশুর মধ্যে আলোচনায় রয়েছে ১৫ লাখ টাকার খাসি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই খাসি ও তার ক্রেতা ইফাত নামের এক তরুণকে নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা।
‘সাদিক অ্যাগ্রো’ ফার্ম থেকে বলা হচ্ছে, আলোচিত তরুণ শুধু এক লাখ টাকা দিয়ে ছাগলটি বুক করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পুরো টাকা পরিশোধ করে ছাগলটি খামার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাননি।
‘সাদিক অ্যাগ্রো’ ফার্মের কর্ণধার মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন জানান, আলোচিত সেই তরুণ শুধু এক লাখ টাকা দিয়ে ছাগলটি বুক করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পুরো টাকা পরিশোধ করে ছাগলটিকে খামার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাননি।