“কৃষক বাচাঁও খাল কাটা হোক” এ শ্লোগানে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কালিকাবাড়ি গ্রামের কৃষক বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। শুক্রবার বেলা ১১টায় কালিকাবাড়ি গ্রামের রেকর্ডীয় গাছাখালের দু’পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক-কৃষাণী ও স্থানীয় বাসিন্দারা এ মানববন্ধনে অংশ নেন। ক্ষতির আশংকায় রয়েছে আবাদি ৭শ’ একর বোরো ফসলী জমি।
এ সময় ৫ কিলোমিটারের শুকিয়ে যাওয়া রেকর্ডীও খালটির দু’পাড়ের বসবাসকৃত ১ হাজার পরিবার নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন এক সময়ে খরস্রোতা এ খালটিতে নৌকা, ট্রলার চলতো, ২০/২৫ বছর ধরে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে খালটি শুকিয়ে কোন পানি না থাকায় ৩নং ওয়ার্ডের ফসলী জমিতে ব্যাপক ক্ষতি ও খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে তাদের। স্থানীয়দের দাবি খালটি পুনঃখন করে কৃষকদের বোরো মৌসুমে মাঠে পানি উপযোগী করে দিয়ে ভোগান্তির লাঘব করার।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান নান্না, সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম, কৃষক ফারুক আকন, নাজমুল গাজী, এনছান খান, কৃষাণী নয়ন বেগম, সেলিনা বেগম, ক্রিকেটার ইকবাল হোসেন, ইমাম মাহবুবুর রহমান, আব্দুল জলিল শেখসহ ক্ষতিগ্রস্ত আরও অনেকে।
এ সর্ম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আলী খান বলেন, বাসবাড়িয়া, আমবাড়িয়া ও কালিকাবাড়ি গ্রামের প্রায় ২ হাজার কৃষকরা বোরো মৌসুমে পানি দিতে পারছে না। অতিচেরই খালটি পুনঃখননের জন্য তিনি দাবি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম তারেক সুলতান বলেন, এ উপজেলায় পলিপড়ে ভরাট হয়ে যাওয়া প্রাচীনতম খালগুলোর তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। কালিকাবাড়ির ওই খালটির বিষয় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। সবগুলো খাল পুনঃখননের জন্য সংশ্লিষ্ট পনিউন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে তিনি আরও জানান।
খুলনা গেজেট/ এসজেড