খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খুলনার বড় বাজারের পাটের বস্তার গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস
  আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে

গেজেট ডেস্ক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগের শর্তে আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে মতামত দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দিয়েছেন। নথিটি সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আইন মন্ত্রণালয় মুক্তির মেয়াদে সুপারিশ করায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর আও ৬ মাস জেলের বাইরে থাকার পথ সুপ্রশস্ত হলো। এর আগেও একবার আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়ার ৬ মাসের মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ।

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো ও সাজা মওকুফ এবং শর্ত শিথিলের আবেদন গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এর দুদিন আগে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছর সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে গত বছরের ২৫ মার্চ মুক্তি পান। মুক্তিতে দুটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়- এ সময় খালেদা জিয়া নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা নেবেন এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। ২৪ সেপ্টেম্বর ছয় মাসের দণ্ড মওকুফের সময়ে পেরিয়ে যাওয়ার আগে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফায় ৬ মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে সরকার। যা ২৪ মার্চ শেষ হবে। এর আগেই গত মঙ্গলবার পরিবারের পক্ষ থেকে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোসহ কয়েকটি দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদন যাচাই বাছাই করে আইনমন্ত্রণালয়ে পাঠায়। আইন মন্ত্রণালয় আজ এ বিষয়ে সুপারিশ করে দিয়েছে।

৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাজীবন শুরু করেন খালেদা জিয়া। এরপর ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

পরে কারাগারে থাকাবস্থায় চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়। এভাবে কয়েক দফায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এবং হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়। মামলা দুটিকে ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেতারা চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জোর দাবি তোলেন। পরিবারের পক্ষ থেকেও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। সেই প্রেক্ষাপটে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির সিদ্ধান্ত দেয় ২৪ মার্চ। ওইদিনই তিনি মুক্তি পান।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!