দলের চেয়াপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে চিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকার জানে খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে জনগণের যে স্রোত নামবে তাতে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এই কারণে তাকে আটকে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে সামনে মহিলা সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠাতে হবে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে পাঠানো ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এই সরকার অবৈধ হলেও তাকে বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবে বলে আমরা আশা করি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজ একটি ঐতিহাসিক দিন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে মনে হয় গণতন্ত্রের জন্যে নারীরা বের হয়ে এসেছে। যখন দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন চলছে, তখন এই নারীদের বের হয়ে আন্দোলনে অংশ নেয়া নিঃসন্দেহ ঐতিহাসিক।’
সমাবেশে আসা নারীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা এই সরকারকে কি ক্ষমতায় দেখতে চান?’ তার প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত নারীর বলে, ‘না।’ পরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার কাউকে ছেড়ে দেয়নি। কয়েক দিন আগে আমাদের এক নেত্রীকে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণে ডিজিটাল আইনে মামলা দিয়ে আটক করে রেখেছে।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘দেশের সকল দল যখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বলছে, তখন এই সরকার বলছে, না। তারা বলছে, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। তারা তো গায়ের জোরে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। ১৫ বছর ধরে সংবিধান কেটে-ছেড়ে শেষ করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। তার পরিবার তার চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে। আমরা আশা করি, তার পরিবারের আবেদনের পর বিদেশে চিকিৎসা নিতে সরকার ব্যবস্থা করবে।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আজকের নারী সমাজ এই সরকারের বিরুদ্ধে নেমে এসেছে। তারাই মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনা পেয়েছিলেন। তাদের স্বামী ও সন্তানদের যুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন দেশ স্বাধীন করার জন্য। কিন্তু স্বাধীনতার পর দেখা গেল এই নারীদেরকে হত্যা, ধর্ষণ করা হয়। কারা করছে? সেই বাকশাল আর রক্ষীবাহিনীর সদস্যরা। অথচ জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে নারীদের পুলিশে চাকরি দেয়ার ব্যাবস্থা করেছিলেন, নারীদের অর্থনীতিতে স্বাবলম্বী করতে কাজ করে গেছেন।’
মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মঈন খান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রীরা।
খুলনা গেজেট/ টিএ