বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের যৌথ সভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সারা দেশে যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশ, ২৬ নভেম্বর (শুক্রবার) বাদ জুমা দেশের মসজিদে মসজিদে দোয়া ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা, ২৮ নভেম্বর (রোববার) সারা দেশে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ, ৩০ নভেম্বর বিভাগীয় শহরে বিএনপির সমাবেশ, ১ ডিসেম্বর সারা দেশে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ, ২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দলের মানববন্ধন, ৩ ডিসেম্বর কৃষক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ৪ ডিসেম্বর মহিলা দলের মৌন মিছিল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এ কর্মসূচি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় কর্মসূচি পরিবর্তন হতে পারে। দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়া সারা দেশের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে বেড়িয়েছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নয় বছর সংগ্রাম করেছেন। আজ তাঁকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তিন বছর তাঁকে কোনো চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়নি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না সরকার। আইনে কোনো বাধা নেই, তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা আইনেই আছে। খালেদা জিয়ার এখন যে অবস্থা তাতে এখনই তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় কিছু হলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে।’
বিএনপিনেতা আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে যেসব কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে সেগুলো কে বা কারা ছড়িয়েছে তা আমরা জানি না। বিএনপি মনে করে, কোনো স্বার্থান্বেষী মহল এসব ছড়াচ্ছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আমাদের সব কর্মসূচি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিয়ে থাকি। আমরা কোনো হঠকারি কর্মসূচি দেব না।’
খুলনা গেজেট/এএ