খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

‘খালেদা জিয়ার কিডনি-লিভার সঠিকভাবে কাজ করছে না’

গেজেট ডেস্ক

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কিডনি ও লিভার সঠিকভাবে কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, চিকিৎসকরা মনে করছেন, তার কিডনি প্রপারলি (সঠিকভাবে) কাজ করছে না। তার লিভারও সেইভাবে কাজ করছে না। যে কারণে জ্বর চলে গেলেও আবার আসছে। গতকাল জ্বর এসেছিল।

সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে উপস্থিত সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডামের হার্টের সমস্যা আছে, সেটা না এগোলে লাঞ্চে যে মাঝে মাঝে পানি এসে যায় তা বন্ধ হবে না। ডাক্তাররা চেষ্টা করছেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারা বারবার করে যে কথা বলেছেন, এখনও বলছেন তা হলো, আমাদের দেশে অনেকগুলো রোগের চিকিৎসা এক জায়গা হয়, এমন সুযোগ কম। পরীক্ষা-নীরিক্ষা, টেকনোলজি কম। সেই কারণে তারা বারবার করে বলছেন, তাকে (খালেদা জিয়া) অ্যাডভান্স সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।

করোনাভাইরাসের পরীক্ষার রিপোর্টে খালেদা জিয়ার জন্মদিন তারিখ নিয়ে আদালতে রিট করেন যুবলীগের এক নেতা। তার রুলের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৩ জুন) আদালত খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত কাজপত্র চেয়ে রুল জারি হওয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনীতি না থাকলে যা হয় আরকি। রাজনীতি তো নেই। এখন এ ধরনের ইস্যুগুলো তুলে ধরে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মূল সমস্যাগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা।

তিনি আরও বলেন, এটা তো ফেইক। এভার কেয়ার যে রিপোর্টের কথা বলা হয়েছে, আমি খোঁজ নিয়েছি এই ধরনের কোনো রিপোর্টই তারা করেনি। সেখানে একটা মিথ্যা তারিখ দেওয়া হয়েছে। তারা যে কাগজটা আদলতে দিয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে আদালত একটা হুকুম দিয়েছে। আমি আইনজীবী নই, তারপর জানি না কীভাবে যথাযথভাবে না দেখে আদালত এ হুকুম দিলো? সামগ্রিকভাবে দেশে যে একদলীয় শাসন চলছে, তার প্রমাণ এখানে জুডিশিয়ারি স্বাধীন নয়। এটাকে আমলে নেওয়াই উচিত ছিল না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, যে লোক রিটটা করেছে, সে তো ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না। আমি যতটুকু আইন বুঝি, রিটটা তখনি হতে পারে যখন যে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা চাইলে রিট করতে পারে। ম্যাডামের জন্মদিনের ব্যাপারে কি আছে না আছে, সেটা তো তাদের দায়িত্ব না। একটা জিনিস খেয়াল করবেন, বাংলাদেশে বহু লোকে জন্মের আসল তারিখ একটা, সার্টিফিকেটে আরেকটা আছে। বিশেষ করে আমাদের জেনারেশনে বাবা-মায়েরা সঠিকভাবে মনে রাখতে পারতেন না, কবে জন্ম হয়েছিল। এটা একটা ঘৃণিত ইস্যু, এটা কোনো রাজনৈতিক ইস্যু হতে পারে না।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীর দিকে ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, হ্যাঁ এখন একটা নির্দিষ্ট তারিখে কেউ জন্ম নিতে পারবে না, এমন ঘোষণা দিয়ে দিলে তো হয়ে যায়। কেউ এই নির্দিষ্ট তারিখে জন্ম দিতে পারবে না। তার বাইরে গিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার চিন্তা করতে হবে। এছাড়া তো কোনো উপায় নেই।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!