উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দু’একদিনের মধ্যে বিদেশে নেয়া হতে পারে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষে থেকে মৌখিক অনুমতিও মিলেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাতের মধ্যে লিখিতভাবে তার বিদেশে নেওয়ার অনুমতি পাওয়া যাবে বলেও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে। বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের ঐ সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত করেই লিখিত আবেদন করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতার জন্য বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দুপুরে দিকে সরকারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে বলা হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে লিখিত অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে জানাগেছে ।
খালেদা জিয়ার বিদেশে নেওয়ার অনুমতি পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখন সরকারের কাছ থেকে কোনো মেসেজ পাইনি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে যত দ্রুত সম্ভব সরকারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ম্যাডামের বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে সবুজ সংকেত (ইতিবাচক সাড়া) পেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। আজকালের মধ্যে সরকারের পক্ষে থেকে লিখিত অনুমতি পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার (৬ মে) ম্যাডামকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ ইতোমধ্যে লন্ডনের প্রস্তুতি নেওয়া শেষ।
এদিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, আজ খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এতে তার করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের যে আদেশ আছে বিদেশি যাওয়ার ক্ষেত্রে, সেটা আর বাধা রইলো না।
গত ৩ মে থেকে শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতা দেখা দেওয়ায় চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করে। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল গুলশানের বাসা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে।
খুলনা গেজেট/ এস আই
