সরকারের ভয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহযোগিতা না দিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রসঙ্গে রোববার রাতে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, গত শুক্রবার রাতের বেলায়, তখন ঘড়িতে রাত ২টা ৮ মিনিট। ম্যাডামের এই খারাপ অবস্থায় আমি পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে (ইউনাইটেড হাসপাতাল) ম্যাডামকে ট্রান্সফার করতে একটি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ফোন করেছিলাম। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আমাকে বলা হলো তাদের হাসপাতালের নিয়ম হচ্ছে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি হলেই তারা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেবে। এটি অ্যাম্বুলেন্স বা জরুরি চিকিৎসার কোনও নিয়ম হতে পারে? এছাড়া খালেদা জিয়ার জন্য দুটি ইনজেকশন চেয়েও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন এই চিকিৎসক।
এ প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ দেশের সাধারণ মানুষ যদি এখন এই হাসপাতালের (ইউনাইটেড হাসপাতাল) ইট খুলে নিয়ে যায় তাহলে তাদের করার কিছু থাকবে না। ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন আচরণের আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া পায়ে হেঁটে কারাগারে গিয়েছিল, আর সেই নেত্রী বের হলেন হুইল চেয়ারে। আজকে তিনি একের পর এক অসুস্থতায় ভুগছেন। এটার অন্য কোনও কারণ নেই। এটার নতুন করে অন্য কোনও ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করার জন্য কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তাকে খাবারের বিষক্রিয়া করে নানা অসুস্থতায় ভোগানো হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ দাবি করে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে যখন বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার কথা বলা হয়, আইনমন্ত্রী সঙ্গে-সঙ্গে বলে দেন, এটা হবে না। অনেকেই বলেন আইনমন্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ। তার মধ্যে কোনও করুণা, সহানুভূতি এবং মানবিকতা নেই।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ইস্যুতে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া বিবৃতির প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, পুলিশের বিবৃতি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য হুমকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের মহাপরিকল্পনার অংশ পুলিশ। তাই সরকার লুটপাটের সুযোগ দেবে না কেন? দেশে যেই অপরাধ করুক তার বিচার হওয়া উচিত।
খুলনা গেজেট/এএজে