বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপোসহীন নেত্রী তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রেখে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন শেখ হাসিনা। বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার লুটেরা বাহিনী, হেলমেট বাহিনী কিভাবে আপনাদের অপদস্ত করেছে; বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কিভাবে লাঞ্ছিত করেছে, নির্যাতন করেছে তা সকলের মনে থাকার কথা। আমরা আর লাঞ্ছিত হতে চাই না। আমরা আগামী দিনগুলোতে শান্তিতে বাসার মধ্যে বসবাস করতে চাই। আমরা ছেলে মেয়েদের নির্ভয়ে স্কুলে পাঠাতে চাই। আমাদের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে কারো কাছে হাত না পেতে হাসপাতালে নির্ভয়ে চিকিৎসা নিতে চাই। কারণ এগুলো আমার মৌলিক অধিকার। এদেশ স্বাধীন হয়েছিলো যে সকল মৌলিক অধিকারের ওপর ভিত্তি করে। খাদ্য বস্ত্র শিক্ষা চিকিৎসা ও বাসস্থানের ওপর ভিত্তি করে। আমরা সেইদিকে ফিরে যেতে চাই।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় দৌলতপুর থানার ৬নং ওয়ার্ডে বিএনপি পরিবারের মহিলা সমর্থক গোষ্ঠির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আর হিংসাত্মক রাজনীতি দেখতে চাই না। আমরা আর ফ্যাসিস্ট হাসিনার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দেখতে চাই না। বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর বাংলাদেশ তারেক রহমানের নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। দেশনেত্রী গনতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া অতীতে যে সকল আসনে নির্বাচন করেছেন কোথাও হারেনি। কিন্তু পতিত হাসিনা ৫টি আসনে নির্বাচন করে ৪টিতে হেরেছেন এমন রেকর্ড আছে। গোপালগঞ্জের একটি আসনে জিতেছেন তাও ভোট চুরির মাধ্যমে।
তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রেখে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন শেখ হাসিনা। মারাত্মক অসুস্থ হলেও তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যু শয্যায় থেকেও এদেশের জনগণের কথা বলেছেন। দেশের কথা বলেছেন। কখনোই ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে মাথানত করেননি।
বকুল বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে হবে। ঘরে ঘরে ধানের শীষের দাওয়াত পৌছে দিতে হবে। কারণ বিএনপির কাছেই বাংলাদেশ নিরাপদ। বিএনপি দেশের প্রতিটি সঙ্কটে জনগণের পাশে দাড়িয়েছে।
বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল অলম তুহিন। অতিথি ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, দৌলতপুর থানা বিএনপির সভাপতি মুরশিদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইমাম হোসেন, মতলুবুর রহমান মিতুল, লিয়াকত হোসেন লাভলু, খবির উদ্দীন, আনসার আলী, বেল্লাল হোসেন, সালমা বেগম, মদিনা হাওলাদার প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/এমএম