সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন এতিম খানা কাম লিল্লাহ বোর্ডিং-এ সমাজসেবা অধিদপ্তরের ক্যাপিটেশন গ্রান্ডের টাকা ব্যাংক থেকে ছাড় করানোর দাবিতে খালি প্লেট হাতে মানববন্ধন করেছে এতিম শিশুরা। রোববার (৩ মার্চ) সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের সামনের সড়কে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে খালি প্লেট ও বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে নিয়ে আহ্ছানিয়া মিশন এতিম খানা কাম লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের এতিম শিশু, এতিমখানার কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে এসময় অংশ নেন, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সভপতি মোঃ আব্দুর রব ওয়ার্ছী, সাধারণ সস্পাদক আলহাজ্ব শেখ আজিজুল হক, জেলা নাগরিক কমিটির নেতা আলিনুর খান বাবলু, আলহাজ্ব আবু দাউদ, মুজিব হোসেন নান্নু, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তার বলেন, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যবদি সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে মাদ্রসা লিল্লাহ বোডিংয়ে ৪৫ জন ছাত্র ছাত্রী পড়াশুনা করে। মাদ্রসা কতৃপক্ষের তত্বাবধায়নে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়। এতিম খানা কাম লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের এতিম শিশুদের খাওয়া খরচ নির্বাহ করার জন্য সম্প্রতি জলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ক্যাপিটেশন গ্রান্ডের টাক বরাদ্দ দেয়া হয়। যা ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখায় জমা করা হয়। কিন্তু গত ১৫ দিন আগে থেকে সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইসলামী ব্যাংক কতৃপক্ষ তাদেরকে টাকা তুলতে দিচ্ছে না। সেখান থেকে এতিম শিশুরা খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। বিষয়টি কমিটির নেতৃবৃন্দকে বারবার বলার পরও কতৃপক্ষ কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে কালক্ষেপন করছে।
বক্তারা আরো বলেন, পরবর্তীতে আমরা জানতে পেরেছি যে, মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসককে ভুল বুঝিয়ে তাদের একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে দিচ্ছে না। মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ আহছানিয়া মিশনকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। তারা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা দোকান ভাড়া আদায় করে কি খাতে ব্যায় করে তার কোন হিসাব দেয় না। এমনকি মেয়াদ উত্তির্ণ কমিটি দিয়ে চলছে মিশনের কার্যক্রম। নির্বাচনের না দিয়ে তার ক্ষমাত কুক্ষিগত করে রেখেছে। অভিলম্বে যাতে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারা যায় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আহছানিয়া মিশনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ ও প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। বক্তারা এসময় সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবী জানান।
খুলনা গেজেট/ টিএ