খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

খাবার প্রলোভন দিয়ে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে । বৃহষ্পতিবার (২৯ মার্চ) রাতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রফিকুল ইসলাম গাজী (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলাম গাজী শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামের আব্দুল গফুর গাজীর ছেলে।

গাবুরা ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক গৃহবধু জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে তালাক হওয়ার পর মেয়েকে নিয়ে তিনি একই গ্রামের বাপের বাড়িতে অবস্থান করতেন। কয়েক মাস পর ওই গ্রামের একজনের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ায় মেয়েও তাদের সঙ্গে থাকতো। মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধী। বৃহষ্পতিবার রাত আটটার পর মেয়েকে বাড়িতে না পাওয়ায় সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকনে।

শুক্রবার ভোরে একই গ্রামের আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে ইসরাফিল তাকে জানান যে, তাদের প্রতিবেশি দাউদের স্ত্রী তাসলিমা খাতুনের সঙ্গে গফুর গাজীর ছেলে রফিক গাজী ও তার (গৃহবধু) প্রতিবন্ধী মেয়েকে নতুন বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেছেন। একপর্যায়ে শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে ২০০ হাত দূরে একটি বাড়ির পিছনে তার মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, একই গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে দাউদ গাজী ও তার স্ত্রী তাসলিমা খাবার দেওয়ার কথা বলে তাকে বৃহষ্পবিার রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাকে সেখানে কয়েকবার ধর্ষণ করে। পরে তাসলিমা তাকে নিয়ে শুক্রবার ভোরে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায়।

ওই গৃহবধু আরো জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ হোসেন বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নিলে তিনি পুলিশে খবর দেন। শুক্রবার বিকেলে পুলিশ রফিককে আটক করে।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে রফিকুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে দাউদ গাজী ও তার স্ত্রী তাসলিমার নাম উল্লেখ করে শুক্রবার রাতে থানায় ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা(৩৯নং) দায়ের করেছেন ।

গ্রেপ্তারকৃত রফিককে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। একই সময়ে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিকেলে সাতক্ষীরা বিচারিক হাকিম নয়ন বিশ্বাসের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে।  ।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!