খানজাহান আলী থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাতের কারণে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী ও শিশু কিশোররা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যোগীপোল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, শিরোমনি, ও গিলাতলাসহ বিভিন্ন স্থানে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগ রয়েছে তাও বিগত বছরগুলোতে কার্যকর করা হয়নি।
এলাকার বাসিন্দা রহমত আলী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অনেকগুলো কুকুর একত্রিত হয়ে দলবদ্ধ ভাবে ঘোরাঘুরি করে। কুকুরগুলো খুবই হিঃস্র। প্রতিদিনই পরিষদের সামনে দিয়ে যাতায়াতকারী চলন্ত ভ্যান ও মোটরসাইকেল আরোহীদেরকে কুকুরগুলো দলবেঁধে তাড়া করে, ফলে সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারী অনেকে ভয় এবং আতঙ্কে থাকে।
আটরা ইউনিয়নের শিরোমণি এলাকার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া বলেন, ৮-১০টি কুকুর একত্রে দল বেঁধে ঘোরাফেরা করে। আমাদের এই এলাকার রাস্তাঘাটগুলোতে বেওয়ারিশ কুকুরের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। রমজানের তারাবি নামাজ শেষে মসজিদ হতে বাড়ি ফেরার পথে মুসল্লিদের দেখে ঘেউ ঘেউ করে কামড়াতে আসে। কুকুরের আতঙ্কে মুসল্লিরা রাতে অনেক সময় তারাবি নামাজ পড়তে যেতে ভয় পাই। যেখানে সেখানে কুকুরের অবাধ বিচরণ। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের জন্য এখন রাস্তাঘাটের বেওয়ারিশ কুকুরগুলো দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পথচারী থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও একই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
গিলাতলার বাসিন্দা আজিজুর রহমান বলেন, রাস্তাঘাটে এমনকি বাসা বাড়ির সামনে যত্রতত্র অসংখ্য কুকুর দলবদ্ধভাবে ঘুরে বেড়ায়। হিংস্র কুকুরগুলোর হাবভাব অনেকটা আক্রমণাত্মক। আমাদেরকে অনেক সময় আতঙ্কে পথ চলতে হয়। মাঝেমধ্যে মনে হয় এই বুঝি কামড় দিল। এছাড়াও অনেক রোগাক্রান্ত বেওয়ারিশ কুকুর শিরোমনি বাজারসহ বিভিন্ন দোকানপাটের সামনে বসে থাকে। অনেক সময় তারা খাদ্যদ্রব্য মুখ দেয়, যা বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে যোগীপোল ইউপি প্রশাসক দিঘলিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জহিরুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ