১. মুসলিম ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অনুসরণে পেট ভরে খাওয়ার পূর্বেই খাবার গ্রহণ বন্ধ করে দেবে, যাতে সে মারাত্মক বদহজম, মেধা ও বুদ্ধি বিনষ্টকারী অজীর্ণের শিকার না হয়।
২. হাত চেটে খাওয়া, তারপর তা মুছে ফেলা, অথবা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা; তবে ধুয়ে ফেলাটাই সবচেয়ে ভালো ও সুন্দর।
আল্লাহর নবী ﷺ এরশাদ করেন,
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ نَامَ وَفِي يَدِهِ غَمَرٌ وَلَمْ يَغْسِلْهُ فَأَصَابَهُ شَىْءٌ فَلاَ يَلُومَنَّ إِلاَّ نَفْسَهُ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হাত পরিষ্কার না করেই হাতে গোশতের গন্ধ ও তৈলাক্ততা নিয়ে ঘুমালো, এতে তার কোন ক্ষতি হলে এজন্য সে নিজেকেই যেন তিরস্কার করে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস, ৩৮৫২
৩. খাওয়ার মাঝখানে যেসব খাবার পড়ে যায়, তা উঠিয়ে নেয়া; কেননা, এ ব্যাপারে হাদিসে গুরুত্ব ও উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে; তাছাড়া এটা নি‘য়ামতের এক প্রকার শুকরিয়াও বটে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস- ৩৮৪৫
৪. মুখ পরিষ্কার করার জন্য দাঁত খিলাল করা এবং ভালোভাবে কুলি করা; কেননা, মুখ দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার যিকির করা হয় এবং বন্ধু-বান্ধব ও প্রিয় জনদের সাথে কথা বলতে হয়; তাছাড়া মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দাঁতের সুস্থতাকে বহাল রাখে।
৫. পানাহারের পরে ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ (الحمد لله) বলে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করা ও এই দুআ পাঠ করাঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ الْوَاسِطِيِّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَوْ غَيْرِهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا فَرَغَ مِنْ طَعَامِهِ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ খাওয়া শেষে বলতেনঃ “সেই আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা যিনি আমাদেরকে খাওয়ালেন, পান করালেন এবং মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করলেন। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস-৩৮৫০
আর যখন দুধ পান করবে, তখন বলবে: হে আল্লাহ! আমাদেরকে তুমি যে রিযিক দান করেছ, তাতে তুমি বরকত দান কর এবং আমাদেরকে তা আরও বাড়িয়ে দাও। আর যদি কোনো সম্প্রদায়ের নিকট ইফতার করে, তাহলে বলবে:
أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الأَبْرَارُ وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ
অর্থঃ তোমার কাছে সাওম পালনকারীগণ ইফতার করল, সজ্জনরা তোমার খাবার খেলো, আর ফেরেশ্তাগণ তোমার জন্য ‘ইস্তিগফার’ তথা ক্ষমা প্রার্থনা করল। আর যদি বলে, হে আল্লাহ! তাদেরকে তুমি যে রিযিক দান করেছ, তাতে তুমি বরকত দান কর; তাদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং তাদের প্রতি রহম কর, তাহলে সে সঠিকভাবে সুন্নাহ পালন করল। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস-৩৮৫৪; সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস-১৭৪৭
লেখক : ইমাম ও খতিব, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়