সাতক্ষীরায় একটি পিস্তলসহ ফরিদা খাতুন নামের এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ মে) ভোর রাত তিনটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবাদের হাটখোলা নামকস্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ফরিদা খাতুন (৪২) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়নের আবাদেরহাট গ্রামের ফজর আলী মিস্ত্রীর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, স্বামী পরিত্যক্তা ফরিদা তার ছেলে ফারুককে নিয়ে আবাদের হাটখোলায় ভাই মুনসুরের হোটেলে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে ফরিদার ভাই মোস্তফা ওরফে বাঘ মোস্তফা ২০১৩-১৪ সালে জামায়াতের রাজনীতি করার কারণে অস্ত্র ব্যবহার করতো।
পরবর্তীতে সে নিজেকে বাঁচাতে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ নিয়ে ২০১৬ সালে এলাকায় তান্ডব চালায়। বর্তমানে সে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম কবীর জানান, বসতঘরের খাটের নীচে মাটিতে অস্ত্র পুতে রাখা আছে এমন খবরের ভিত্তিতে সোমবার ভোর তিনটার দিকে উপপরিদর্শক আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ আবাদের হাটখোলায় ফজর আলী মিস্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ফরিদা খাতুনের ঘরের খাটের নীচে মাটির মধ্যে লুকিয়ে রাখা একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয় ফরিদাকে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদা খাতুন জানায় যে, তার ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তল তার ভাই বাঘ মোস্তফা তার খাটের নীচে মাটির মধ্যে পলিথিন মুড়িয়ে রেখে যায়।
ওসি আরো জানান, অস্ত্রসহ ফরিদা খাতুনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উপপরিদর্শক আরিফ হোসেন বাদি হয়ে সোমবার অস্ত্র আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করবেন। ফরিদাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।